লবঙ্গের ঝাঁজ শুধু তার স্বাদে নয়, উপকারিতাতেও আছে। লবঙ্গে থাকা ফাইবার, ভিটামিন-কে ও ই, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন সহ বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। অন্যান্য চায়ের ভিড়ে লবঙ্গ চা পানের পরামর্শ দেওয়ার পেছনে অবশ্যই যুক্তিযুক্ত কিছু কারণ আছে। তার কিছুটা তুলে ধরা হলো।
গবেষকদের মতে, প্রতি বছর ডায়বেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরো ভয়াবহ তথ্য হলো, আক্রান্তদের মাঝে সিংহভাগের বয়স ৪০ এর কম। সেক্ষেত্রে লবঙ্গ চা হতে পারে দারুণ এক সমাধান। কারণ প্রকৃতিক এই উপাদানটিতে থাকা নিগেরিয়াসিন, শরীরে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। যার দরুন রক্তে শর্করার মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণের ভেতরেই থাকে।
বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ মানুষই মানসিক চাপের শিকার। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইলে নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করা প্রয়োজন! এই পানীয়টি শরীরের ‘ফিল গুড’ হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধিতে কাজ করে। ফলে মানসিক চাপের নিয়ন্ত্রণে আসতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।
লবঙ্গে থাকা ভিটামিন-কে ও ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে শরীরে থাকা ভাইরাসকে অকার্যকর করে দেয়। ফলে ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ কমে যায় সহজেই। প্রসঙ্গত, উষ্ণ এই পানীয় পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। যার দরুন পুনরায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
প্রাকৃতিক এই উপাদানে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি তথা প্রদাহ বিরোধী উপাদান দাঁতের যন্ত্রণা কমায়। দাঁতের ব্যথা, অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার সমস্যা দেখা দিলে এক কাপ গরম লবঙ্গ চা পান করলে আরাম পাওয়া যাবে।
ত্বকের সংক্রমণে লবঙ্গ চা আলাদাভাবে উপকারিতা বহন করে। এক্ষেত্রে লবঙ্গ চা পান করার বদলে সংক্রমণযুক্ত স্থানে সরাসরি লবঙ্গ চা লাগাতে হবে। লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের নিষ্ক্রিয় করে দিতে ও বের করে দিতে কাজ করে। পাশাপাশি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। নিয়মিত লবঙ্গ চায়ের ব্যবহার সংক্রমণজনিত সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক উপাদান লবঙ্গে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামক উপাদান সাইনাসের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যে কারণে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরাও প্রবল মাথাব্যথা নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহার করেন।
আরো পড়ুন: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলের মিশ্রণে তৈরি স্বাস্থ্যকর স্মুদি