অসংখ্য ভিডিওর সমাহারের স্থান ইউটিউবের ভক্ত-দর্শকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তির সঙ্গে ইউটিউবের রাজত্বে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। আর এই রাজত্বে প্রথম স্থানটা দখল করেছে মাত্র সাত বছর বয়সী একজন শিশু। অবিশ্বাস্য ও চমকে দেওয়ার মতোই হুলুস্থুল ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রায়ান।
বিভিন্ন ধরণের খেলনা আনপ্যাকিং করা, খেলনা নিয়ে খেলা করা, খেলনার রিভিউ দেওয়ার ভিডিও বানিয়ে রায়ান বনে গেছে বর্তমানে সর্বোচ্চ আয় করা ইউটিবার। আয়ের সংখ্যাটাও রীতিমত অবিশ্বাস্য, ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!
রায়ানের পারিবারিক ইউটিউব চ্যানেল ‘রায়ান টয়সরিভিউ’ তে খেলনা নিয়ে খেলারত হাস্যজ্জ্বল রায়ানের ভিডিও আপলোড করা হয়। ফোর্বস ম্যাগাজিন এর তথ্যানুসারে ১৭.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার্স সম্বলিত রায়ানের জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলটি রয়েছে সবার আগে, একদম প্রথম স্থানে। অথচ বিগত বছরেও রায়ানের এই চ্যানেলটি ছিল আট নাম্বারে।
২০১৫ সালের মার্চে শুরু হওয়া রায়ান টয়সরিভিউ চ্যানেলটির ভিডিওগুলো এ পর্যন্ত দেখা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন বার! চ্যানেলটি শুরু হবার পেছনে আছে খুব মজার একটি ঘটনা। ইউটিউবের খেলনার রিভিউ দেওয়া ভিডিওর ফ্যান ছিল চার বছর বয়সী রায়ান। এমন ভিডিও দেখে সে বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তারা নিজেরাই কেন এমন একটা ভিডিও চ্যানেল শুরু করছে না ইউটিউবে! শুরুটা সেই থেকেই।
অবশ্যই শুরুতে ভিডিওগুলো খুব একটা দর্শক টানতে পারেনি। ২০১৫ সালের জুলাইতে রায়ানের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে চ্যানেলটি। ভাইরাল হওয়া উক্ত ভিডিওটি ছিল জনপ্রিয় পিক্সারের ‘কারস’ সিরিজের ১০০টি নতুন খেলনা গাড়ির বক্স খোলা ও গাড়িগুলোর রিভিউ দেওয়া।
বর্তমানে রায়ানের চ্যানেলে নতুন খেলনা ও শিশুদের খাবারের রিভিউ দেখানো হয়। যেখানে ক্যামেরার সামনে থাকে রায়ান এবং ক্যামেরার পেছন থেকে রায়ানকে ডিরেকশন দেন ও ক্যামেরা পরিচালনা করেন রায়ানের বাবা-মা।