পৃথিবীর সব খাদ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান দুধে। তাই শরীরের যত্ন নিতে যে খাবারগুলো খাওয়ার কথা চিকিৎসকরা বলে থাকেন, তার মধ্যে অন্যতম হল দুধ। হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— দুধেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ শরীরের রহস্য।
দুধের মতো স্বাস্থ্যকর পানীয় খুব কমই রয়েছে। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, নানা রকম প্রোটিনসমৃদ্ধ দুধ ভাল রাখে শরীর। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অনেকেরই এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। দুধ শরীরের যত্ন নেয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে বাড়তি উপকার পেতে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েকটি জিনিস। সেগুলো কী কী?
কাঠবাদাম
শরীরের যত্নে এই বাদামের জুড়ি মেলা ভার। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ত্বকের যত্ন— সবেতেই কাঠবাদাম দারুণ উপকারী। অনেকেই সকালে উঠে ভেজানো কাঠবাদাম খান। শুধু খাওয়ার পাশাপাশি দুধের সঙ্গেও খেতে পারেন এটি। সুফল পাবেন। এই বাদামে রয়েছে রিবোফ্ল্যাভিন নামক উপাদান, যা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। দুধের সঙ্গে কাঠবাদাম খাওয়ার এই অভ্যাসে শক্তিশালী হবে হাড়। বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
খেজুর
ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে খেজুর খুবই জনপ্রিয়। শরীরের খেয়াল রাখতেও এটি দারুণ কার্যকরী। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি মনোযোগ বাড়াতেও খেজুর উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুরের ভূমিকা অনবদ্য। এছাড়াও খেজুরে মিনারেলস, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। বাতের ব্যথা কমাতেও খেজুরের দক্ষতা কম নয়। তবে শুধু খেজুর খাওয়ার চেয়ে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। দারুণ উপকার পাবেন।
গুড়
চিনির তুলনায় গুড় অনেক বেশি সহজপাচ্য। গুড়ে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি ফসফরাসও থাকে। এছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী খনিজও থাকে। চিনির তুলনায় গুড়ে মিনারেলসের পরিমাণ অনেক বেশি। মধুর সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে গুড়েও। অন্য দিকে দুধ হল ক্যালশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। গরম দুধের সঙ্গে চিনির বদলে গুড় মিশিয়ে খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে। রক্তাল্পতার সমস্যায় যারা ভুগছেন, দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় দুধের সঙ্গে গুড় খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে। দুর্বলতা কাটবে।