জনপ্রিয় অস্ট্রেলিয়ান জুকিপার ও সংরক্ষণবাদী স্টিভকে মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই প্রাণ হারাতে হয় গভীর পানির তলদেশে স্ট্রিংরে মাছের আঘাতে। বনে বাদাড়ে কিংবা পানিতে দাপটের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়ানো মানুষটি বেঁচে থাকার জন্য লড়ায় করেও জিততে পারেননি।
স্টিভ মারা যাওয়ার সময় রেখে যান তার প্রিয়তমা স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। বড় মেয়ে বিন্ডি আরউইন ও ছোট ছেলে রবার্ট আরউইন। রবার্টের বয়স তখন সবে দুই। কিছুই তেমন বুঝতে শেখেনি।
বাবার সঙ্গে যেমন খুব একটা সময় কাটানো হয়নি রবার্টের, ঠিক তেমনভাবেই ছোট্ট রবার্ট তখন বুঝতেও পারেনি যে- সারাজীবনের জন্য বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে সে। রবার্টের সঙ্গে তার বাবা নেই, মাথার উপরে বাবার ছায়াও নেই। কিন্তু বাবার তৈরি করা পথ, বাবার আদর্শ ও বাবার কাজ তো আছে রবার্টের সঙ্গে।
সেগুলোকেই পুঁজি করে ১৪ বছরের কিশোর রবার্ট মনোমুগ্ধকর ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে ইতিমধ্যেই বেশ নামডাক কুড়িয়ে ফেলেছে। ২০১৬ সালে ‘অস্ট্রেলিয়ান জিওগ্রাফি ন্যাচার ফটোগ্রাফার’ বিভাগে নিজের তোলা দুর্দান্ত ছবি দিয়ে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছে রানার আপ এর স্থান।
‘অস্ট্রেলিয়া’স টুডে শো’ কিশোর এই ফটোগ্রাফারকে বলছে ‘ফটোগ্রাফি প্রোডিজি’। তার তোলা ছবির জনপ্রিয়তা শুধু তার দেশেই নয়, ছড়িয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
রবার্টের কাজ কেন এতোটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন জানতে চাইলে তার তোলা ও তার ক্যামেরার পিছনের কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। অনেক ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফাররাই যে সকল বন্য প্রাণীর নিকটে যাওয়ার সাহস পায় না, যেখানে ১৪ বছরের কিশোর রবার্ট অবলীলায় হেসেখেলে কাজ করে, ছবি তোলে।
শিশু পাইথনকে নিজের ক্যামেরার লেন্সের উপর রেখেও ছবি তোলার মতো সুক্ষ্ম কাজটি সেরে ফেলতে পারে এই ফটোগ্রাফার প্রডিজি। ক্লিন ও ক্লিয়ার শট নেওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা একই স্থানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে সে।
কি আকাশে ওড়া ঈগল আর হাজার ফুট গভীর পানির তলদেশের অক্টোপাস, সবার ছবি একেবারে মনের মতো করে ধারণ করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।
আরো পড়ুন: মাত্র সাত বছরেই মিলিয়নিয়ার ইউটিউবার
আরো পড়ুন: অদ্ভুতুড়ে ‘ডিসগাস্টিং ফুড মিউজিয়াম’