ঘুম থেকে উঠে, অফিসে কাজের ব্যস্ততায়, দুপুরে ঘুমভাব তাড়াতে কিংবা বিকাল-সন্ধ্যার আড্ডাতে এক কাপ ধোঁয়াওঠা গরম কফি না হলে কী চলে! এখন যদি বলা হয় যে- সময় মেনে কফি পান করতে হবে, তবে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে অনেকেই। কফি পানের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় আছে নাকি? আছে বৈকি।
বিশেষত ঘুম থেকে উঠেই কফি পান করা একেবারেই উচিৎ নয়। ঘুম ভাঙার অন্তত এক ঘন্টা পর কফি পান করা যাবে। অকারণে এমন কথা বলা হচ্ছে না। এর পেছনে রয়েছে যুক্তিযুক্ত কারণ।
ক্লিনিক্যাল গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ঘুম ভাঙার পর এক ঘন্টা পর্যন্ত শরীরে কর্টিসল নিঃসৃত হয় সর্বোচ্চ মাত্রায়। কর্টিসল হলো ‘স্ট্রেস হরমোন’। এই হরমোনটি মানসিক চাপ ও অস্থিরতার জন্য দায়ী। শরীরে কর্টিসল নিঃসৃত হওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই শরীর অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি ‘অ্যালার্ট’ থাকে। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মন-মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে।
কিন্তু এই সময়ে কফি পানে কি সমস্যা হবে? ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ও মন স্বাভাবিকভাবে কর্টিসলের নিঃসরণের জন্য চাপের মাঝে থাকে। এই সময় শরীর ক্যাফেইন গ্রহণের জন্য একেবারেই প্রস্তুত থাকে না। ক্রোনোফার্মালোজিস্টদের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর তার স্বাভাবিক নিয়মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে চেষ্টা করে। এর মাঝে স্ট্রং ক্যাফেইনের প্রভাব নেওয়ার জন্য শরীর একেবারেই প্রস্তুত থাকে না।
তাই ঘুম থেকে উঠেই কফি পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার পর সতেজভাব অনুভূত না হয়ে, বিচিত্র অনুভূতি কাজ করতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ক্যাফেইন কোন কাজ না করে কর্টিসলের উপর প্রভাব বিস্তার করে হিতে-বিপরিত অবস্থাও তৈরি করতে পারে।
তাই সকাল সকাল সতেজ, ফ্রেশ ও চাঙা বোধ করতে চাইলে, ঘুম থেকে ওঠার অন্তত এক ঘন্টা পর কফি পান করতে হবে।
আরো পড়ুন: কোল্ড কফি ও হট কফি: কোনটা বেশি উপকারী?
আরো পড়ুন: দিনের শুরু হোক লবঙ্গ চায়ের সঙ্গে