বর্তমানে মানুষ আগের চেয়েও অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। কেবল কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানেই নয়, বরং মানুষ এখন দৈনন্দিন জীবনেও নিজেকে বিশেষভাবে উপস্থাপন করতে চায়। তাই প্রতিদিনের সাজ-পোশাকে সবাই কিছু ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করে।
এখন শীতকাল চলছে। বাংলাদেশসহ নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোতে সাধারণত বাইরের দেশ থেকেই গরম পোশাক আনানো হয়। কারণ, শীতপ্রধান দেশগুলোতে বছরের বেশিরভাগ সময় শীত থাকায় সেখানে প্রচুর পরিমাণে গরম কাপড় তৈরি করা হয়। তাই, শীত মানেই যেন পশ্চিমা ধাঁচের ফ্যাশন।
তবে এখন আমাদের দেশেও তৈরি হচ্ছে শীতের পোশাক। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এসব পোশাকে রাখা হচ্ছে দেশি ছাপ। দেশি শীতকালীন পোশাক বলতে রয়েছে হাতে সেলাই করা নকশী শাল বা চাদর; যা এতকাল আমাদের এতিহ্য করে বহন করে এসেছে। তবে এখন নতুনত্ব দেখা যায় ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শীতকালীন দেশীয় পোশাকে। নামকরা ফ্যাশন হাউজ আর ক্লোথিং ব্র্যান্ডে পেয়ে যাবেন ঐতিহবাহী পোশাক। যা আপনাকে ফ্যাশনেবল ও অনন্য করে তুলবে।
খুঁত: শত বছরের পুরোনো খাঁটি বাঙ্গালীয়ানা বরাবরই ধরে রাখার চেষ্টা করে খুঁত। তার প্রমাণ মেলে খুঁতের বাড়িতে গেলেই। এবার সম্পূর্ণ অন্যরকম কালেকশন নিয়ে তারা হাজির হয়েছেন। রেশমী কম্বল বা মোটা কম্ফোর্টার নয়, প্রাচীনকালে বাঙ্গালীর শীতের সম্বল ছিল কাঁথা। সেই কাঁথা সেলাইয়ের হুডি ও সোয়েটার এনেছে খুঁত। হাতা কাটা, ফুলস্লিভ ও হুডি জ্যাকেট সবই পাওয়া যাবে এই ডিজাইনে। নানা রঙের কম্বিনেশনে তৈরি করা হয়েছে এই পোশাকগুলো।
দেশাল: ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই দেশী ধাচে চমৎকার সব কালেকশন এনেছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড দেশাল। সাদামাটা ও রঙিন উভয় ধরনের পোশাক আছে তাদের কাছে। তবে অনন্য করা হয়েছে প্রতিটি ডিজাইন। হাল্কা কোট, ক্রপ হুডি, রঙিন প্রিন্টের হুডি, ফুলস্লিভ টিশার্ট, মাফলার, এলিগেন্ট সোয়েট শার্টসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে তাদের এবারের কালেকশনে।
হরিতকি: দেশীয় চিত্রকর্মের ডিজিটাল প্রিন্ট পোশাকের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। শীত উপলক্ষ্যে হরিতকি এনেছে চমৎকার সব ডিজিটাল প্রিন্ট কালেকশন। উজ্জ্বল সব রঙের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন শাল। নানা রকম প্রিন্ট রয়েছে পুরো শাল ও শালের পাড় জুড়ে। শুধু তাই নয়, তাদের এবছরের স্পেশাল- ম্যাচিং ব্লেজার ও ফরমাল প্যান্ট অনেক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিভিন্ন চিত্রকর্মের প্রিন্ট ফুটে উঠেছে এসব সেটে।