বিয়ের আয়োজন, ঈদের আমেজ কিংবা ঘরোয়া কোন আনন্দ আয়োজনেও মেহেদী দেওয়া চাই-ই চাই।
এখনকার সময়ে কোন মেহেদীর বদৌলতে নানান রকম নজরকাড়া নকশাতে মেহেদী দেওয়া বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। হাতের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে সহজেই পছন্দসই নকশায় মেহেদী একে নেওয়া যায় যখন-তখন।
এই শীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজের হাতকে রাঙাতে চাইলে নিজেও এঁকে নিতে পারেন পছন্দসই মেহেদীর নকশা। খুব বেশি জটিল ও কঠিন কোন নকশা নয়, একেবারেই সাধাসিধা ফ্লোরাল নকশাতেও ভীষণ গর্জাস দেখাবে আপনার হাত।
এমন ফ্লোরাল নকশার মাঝে ছোট পাতা দিয়ে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন মাত্রা। পাতার লম্বা বিন্যাসে মাঝে নকশা টেনে ফুলের আকৃতি দেওয়া যেতে পারে। অথবা একটি বড় ফুলকে কেন্দ্র করে ছড়ানো পাতার নকশা এনে দিতে পারে মেহেদীর আর্টে ভিন্ন মাত্রা।
ফুল ও পাতার নকশা খুব বেশি কমন মনে হলে ট্রাই করতে পারেন মরোক্কান ফ্লোরাল নকশা। এতে ফুলেল নকশার পাশাপাশি থাকবে নেটের জালির বিন্যাস। একেবারেই সহজে এঁকে ফেলা যায় বলে, এই নকশাটিও বেশ জনপ্রিয়।
সম্পূর্ণ হাতে যদি ফুলেল নকশা আঁকতে না চান তবে হাতের একপাশ বরাবর ফুলেল নকশার সঙ্গে কল্কী এঁকে লম্বাটে নকশা তৈরি করে নিতে পারেন। হাতের আঙ্গুলের অংশ একেবারে ফাঁকা না রেখে আঙ্গুলের মাথায় পছন্দসই ছোট নকশা করে নিতে পারেন।
মরোক্কান নকশার মতোই সহজ ধাঁচের আরেকটি নকশা হলো বৃত্তাকার নকশা। ফুলেল নকশার সঙ্গে মানানসই বিভিন্ন আকৃতির বৃত্তাকার নকশা ও ছোট ফোঁটা এঁকে এই নকশাটি এঁকে নেওয়া যাবে সহজেই। ফোঁটাগুলোর বিন্যাস মনমতো গুছিয়ে নিতে পারলে সম্পূর্ণ নকশাটিই চমৎকার ফুটে উঠবে।
তবে হাত যদি ভারি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ফুলেল নকশার সঙ্গে ডিম্বাকৃতির ডিজাইনের সঙ্গে ফুলেল নকশা এঁকে নিতে পারেন। এতে করে হাত ভরাট ও সুন্দর দেখাবে।
মেহেদী দেয়ার ক্ষেত্রে মূলত মনে রাখতে হবে, লাইনগুলো যেন সোজা থাকে। সোজা লাইনের সঙ্গে মানিয়ে যেকোনো ডিজাইনই চমৎকার ফুটে উঠবে।
আরো পড়ুন: সহজ ডিজাইনে নজরকাড়া নখ
আরো পড়ুন: সঠিক সাজে আকর্ষণীয় চোখ