আমরা যা খাই, তা ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমানোসহ, স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক প্রভাবিত করে। সুষম এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ সামগ্রিক সুস্থতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তার সাথে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয় ডাক্তার রণদীপ সিং-এর মতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর ওজন প্রত্যক্ষ অবদান রাখে। স্তন, কোলোরেক্টাল এবং জরায়ুসহ বিভিন্ন ক্যান্সারের হওয়ায় ঝুঁকি স্থূলতার কারণে বেড়ে যায়। ফল, শাকসবজি, শস্যজাতীয় খাবার এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে ক্যান্সারে স্থূলতার কারণে প্রভাব পড়ার ঝুঁকিও কমে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যের প্রভাব পড়ে যেভাবে:
১. শারীরিক অঙ্গের আকার নিয়ন্ত্রণ ও সুষম ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত ক্যালোরির ভারসাম্য বজায় রাখতেও খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রভাব রয়েছে।
২. কিছু খাবারে শক্তিশালী অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন: ফল, শাকসবজি এবং হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। যা মুক্ত রেডিকেলকে নিরপেক্ষ রাখে। “ব্রোকলি এবং কেইল-এর মতো সবজিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী প্রভাব রয়েছে।
৩. শস্যদ্রব্য, লেবু এবং ফল থেকে খাদ্যে ফাইবার উপাদানের উপস্থিতি থাকে। এতে পরিপাক ভালোভাবে হয়।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় অতিমাত্রায় সেবন হরমোনকে প্রভাবিত করে। ইনসুলিন গ্রোথ ফ্যাক্টরের মাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা ক্যান্সার হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এছাড়া, ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্যে (চর্বিযুক্ত মাছ, তেঁতুলের বীজ এবং আখরোট) ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
৫. প্রক্রিয়াজাত করা খাবার এবং লাল মাংসের ব্যবহার সীমিত করলে ক্যান্সারের ভয় কমে। এসব বেশি খেলে কোলোরেক্টালের মাত্রা বাড়ে। এতে, ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তার পরিবর্তে চর্বিহীন প্রোটিন যেমন মাছ, মুরগি, বেগুন এবং উদ্ভিদজাতীয় প্রোটিন খেতে পারেন।
৬. পরিমিত পানি পান করুন। তার সাথে ভেষজ চা এবং কম-ক্যালোরিযুক্ত পানীয় পান করা উচিত। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, ক্যান্সার প্রতিরোধেরও ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস