সামান্য এক টুকরো প্রাণহীন কাগজে প্রাণের স্পন্দন এনে দিতে পারে একজন শিল্পী। এমনই একজন শিল্পী হলেন ম্যাট স্লিয়ান।
মূলত তিনি একজন ভাস্কর। আরও পরিষ্কারভাবে বললে, কাগজের ভাস্কর। বিভিন্ন ধরণের কাগজ কেটে নানান প্যাটার্নে তিনি তৈরি করেন নয়নাভিরাম কাগজের ভাস্কর্য।
সিরামিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার উপর পড়ালেখা করলেও, হাতেকলমে কাজ করার ক্ষেত্রে বুঝতে পারেন সকল মিডিয়ামেই তার সমান আগ্রহ। সকল মিডিয়াম নিয়ে কাজ করতেই তার ভালো লাগে।
যার ফলে শুরু থেকেই তিনি গতানুগতিক সিরামিকের ভাস্কর্য তৈরি না করে একটু ভিন্ন কিছু তৈরির দিকে ঝুঁকেছিলেন। কাগজ ও জ্যামিতি- দুটোই ম্যাট ভীষণ ভালোবাসেন। এই দুইটি বিষয়কে এক করার ব্যাপারটি তার কাছে ছিল অনেকটা পাজল সমাধান করার মতো। দুটো ক্ষেত্রকে একসাথে করার মাধ্যমেই তৈরি হয় অসাধারণ সকল কাগজের ভাস্কর। যার জন্য ইতোমধ্যেই ‘পেপার ইঞ্জিনিয়ার’ খেতাব জুটেছে তার নামের সঙ্গে।
কাজের জন্য তিনি সাধারণত অ্যাসিডমুক্ত সাদা আর্কাইভাল পেপার ব্যবহার করেন। সঙ্গে থাকে পিভিএ গ্লু, ব্লেডস, ক্রাফটিং টুলস, টুইজার, স্প্যাচুলা, ব্রাশ প্রভৃতি।
ম্যাটের প্রতিটি শিল্পকর্ম দেখলেই অবাক হতে হয়। প্রতিটি আলাদাভাবে সুন্দর এবং প্রতিটি ভিন্ন ডিজাইনে তৈরি। এতো নতুন প্যাটার্ন, নতুন ডিজাইন, নতুন কম্পোজিশনের আইডিয়া সে কীভাবে তৈরি করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাট জানান, তিনি প্রতিটি কাজ শুরু করেন ‘ভুল’ দিয়ে। কারণ তার মতে, অন্যের কাজ কপি করার চাইতে নিজের ভুল কাজ থেকে নতুন কিছু শেখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে হ্যা, নিজের কল্পনা ও চিন্তার মাঝে আইডিয়া তৈরি করার পেছনে সোলার সেল ডিজাইন, প্রোটিন মিস ফোল্ডিং, ইসলামিক টাইল প্যাটার্ন, সিস্টেমিক ড্রইং, আর্কিটেকচার, বায়োমিমেট্রিক্স ও সঙ্গীতের ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: একই ফ্রেমে বাস্তবতার এক ভিন্ন চিত্র!
আরও পড়ুন: ক্যানসার জয় করা জেলি আর্টিস্ট