এই বছরের লুনার একলিপ্সটি ‘সুপার ব্লাড ওলফ মুন’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
এমন নামকরণের কারণ হলো, চাঁদের আলোর লালচে আভা। স্বাভাবিক দূরত্বের চাইতে পৃথিবীর কক্ষপথের বেশ কাছাকাছি চাঁদের অবস্থান হবার কারণে এমন লালচে আভা তৈরি হয়েছে চাঁদের আলোতে।
অন্যদিকে ওলফ মুন বলার কারণ হলো, প্রতি মাসেই চাঁদের একটি নির্দিষ্ট নাম দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে প্রাচীন লোকগাঁথা অনুসারে। সেই হিসেবে জানুয়ারি মাসে চাঁদের নাম ছিল ‘ওলফ মুন’। সেখান থেকেই এই বছরের লুকার একলিপ্সের সম্পূর্ণ নাম দাঁড়ায়- সুপার ব্লাড ওলফ মুন।
মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপ থেকে সুপার ব্লাড ওলফ মুন ভালোভাবে দেখা গিয়েছে। পূর্ব আফ্রিকা ও এশিয়া ব্লাড মুন দেখা গিয়েছে কিঞ্চিৎ। তবে মার্কিন যুক্তরাজ্যের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় খুব একটা পরিষ্কারভাবে ব্লাড মুন দেখা যায়নি।
তবে আমাদের দেশে এই সুপার ব্লাড ওলফ মুনটি দেখা যাবে আজ রাতে। চেষ্টা করবেন এই বছরে চাঁদের অপূর্ব সৌন্দর্যটি মিস না করার জন্য। কারণ যারা এই বছরের একলিপ্স মিস করবেন, তাদের জন্য দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে- পরবর্তী লুনার একলিপ্সটি হবে আগামী দুই বছর পর। ২০২১ সালের ২৬ মে তে।
চাঁদ ও সূর্যয়ের মাঝ দিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করার সময়ে এই ধরণের একলিপ্সটি হয়। এই অবস্থায় সূর্য থাকে পৃথিবীর পেছনে এবং চাঁদ ঘুরতে থাকে পৃথিবীর ছায়ায়।
অনেকেই স্পেশাল চাঁদের সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন পৃথিবীর ভিন্ন প্রান্ত থেকে। তেমন কয়েকটি ছবি যুক্ত করে দেওয়া হলো এই ফিচার।
আরও পড়ুন: বিলুপ্তপ্রায় ও বিচ্ছিন্ন আদিবাসীদের বিস্ময়কর চিত্র!