সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা ইউটিউবে বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে জনপ্রিয় হয়ে উঠা ফুড ব্লগার হলেন ট্রেভর জেমস। ফুড রেঞ্জার হিসেবেই যিনি অধিক পরিচিত। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে খাবারের অভিজ্ঞত ও নিজস্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে দু’দিন আগে সস্ত্রীক বাংলাদেশে পা রেখেছেন তিনি।
দেশে আসার পর থেকেই পুরোদমে চলছে জেমসের ফুড অ্যাডভেঞ্চার। ইতোমধ্যে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নীরব হোটেলের একাধিক পদের ভর্তার স্বাদ আস্বাদন করাও হয়ে গেছে তার। মাছের বার-বি-কিউ কিংবা হরেক পদের মিষ্টি কোনকিছুই বাদ পড়ছে না।
নীরবে হোটেলে তোলা নিজের একটি ছবি তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে শেয়ার করার পর থেকেই খাদ্যপ্রেমীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেমসের বাংলাদেশি ফ্যান ও ফলোয়ার্সরা দারুণ খুশি তার বাংলাদেশ ভ্রমণের খবরে।
অনেকের কাছেই ট্রেভর জেমস পরিচিত মুখ নয়। তারা জেনে রাখতে পারেন- ইউটিউবে ২৫ লাখ ফলোয়ার্স, ইন্সটাগ্রামে ৩ লাখ ৭০ হাজার ফলোয়ার্স ও ১৫ লাখ ৮০ হাজার লাইকের নিজস্ব ফেসবুক পেইজের এই মানুষটিকে ধরা হয় অন্যতম সফল একজন ফুড ব্লগার হিসেবে। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও এশিয়ার অন্যান্য দেশের স্ট্রিট ফুড খাওয়া, নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে ভিডিওতে ধারণ করা ও সবার সাথে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমেই ট্রেভর জেমসের আজকের ফুড রেঞ্জার হয়ে ওঠা।
নিউজিল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জেমস পড়ালেখার সুবাদে পাড়ি জমায় চীনে চেংডুতে। পড়ালেখার পাশাপাশি ইংলিশ শেখানোর কাজ করতো হাত খরচ চালানোর জন্য। তবে চীনে যাওয়ার আগে থেকেই খাবারের প্রতি ভালোবাসা, নতুন খাবারের অভিজ্ঞতা নেওয়া, নতুন খাবারের খোঁজ করার ঝোঁক ছিল তার মাঝে। তখন থেকেই ছোটখাটো ভিডিও করে ইউটিউবে শেয়ার করা শুরু করলেও, হাতে গোনা কয়েকজন ফলোয়ার ছাড়া তেমন কোন খ্যাতি ছিল না তার।
২০১৪ সালে চীনে টিং এর সঙ্গে পরিচয় হয় জেমসের। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রণয়, প্রনয় থেকে পরিণয়। উভয়ের সম্পর্কটি গড়ে ওঠার মাঝেই নিজেকে আবিষ্কার করেন জেমস।
ভ্রমন করা ও বিভিন্ন দেশ ঘুরে খাবারের অনুসন্ধান করার নেশাটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে নেয় জেমস। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সস্ত্রীক এই দেশ থেকে সেই দেশে, প্রতিটি দেশের স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়া ও ভিডিও করাই এখন তাদের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।