বৈষম্য রয়েছে আয়ের ক্ষেত্রেও। প্রতিনিয়ত হাজারো প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয় প্রতিটি নারীকে। অথচ আমাদের দেশের বর্তমান এই চিত্রের একেবারেই বিপরীত চিত্র নিয়ে কিছু দেশ নারীদের বসবাসের জন্য সেরা দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়।
চলতি মাসের ৮ তারিখে অর্থাৎ বিশ্ব নারী দিবসে ‘দ্য ইউএস নিউজ’ ও ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ তাদের ‘বেস্ট কান্ট্রিস ফর উইম্যান’ শীর্ষক বাৎসরিক র্যাংকিং এর তালিকা প্রকাশ করে।
এই তালিকা তৈরি করার জন্য পুরো বিশ্বের মোট ৯,০০০ নারীর উপর সার্ভে করা হয়। নারীদের জন্য সেরা দেশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ৮০টি দেশের মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়েছে- মানবাধিকার, নারী-পুরুষের সমতা, আয়ের সমতা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা।
জেনে নিন নারীদের জন্য বর্তমান বিশ্বের ১৯টি সেরা দেশের তালিকা।
১৯. ২০১৮ সাল থেকে এই বছরে এক ধাপ পিছিয়ে ১৯ নাম্বারে এসেছে স্পেন। নারী-পুরুষ সমতা, মানবাধিকারে ৫.৮ এবং অতিরিক্ত নিম্ন আয়ের জন্য ১.০ পয়েন্ট পেয়েছে দেশটি।
১৮. নারী-পুরুষ সমতার জন্য ০.৮ পেলেও উন্নয়নের জন্য ১০.০ পেয়ে ১৮ নাম্বার স্থানটি দখল করেছে জাপান।
১৭. নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারে গড় স্কোর করলেও, আয়ের সমতায় খুবই বাজে স্কোর (১.১) পেয়ে ইটালি নিয়েছে ১৭ নাম্বার স্থান।
১৬. প্রগতিশীলতায় (৮.৯) ও নারী-পুরুষ সমতায় (৭.০) পেলেও, নিরাপত্তায় (১.৭) ও আয়ের সমতায় (১.১) পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) রয়েছে ১০ এর বাইরে।
১৫. মানবাধিকারে ৭.৯, নিরাপত্তায় ৭.৬, উন্নয়নে ৪.৯ ও আয়ের সমতায় ৩.৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নাম্বারে আছে আয়ারল্যান্ড।
১৪. নারী-পুরুষ সমতায় ৮.৩, মানবাধিকারে ৮.৫ ও আয়ের সমতায় ২.০ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নাম্বারে আছে ফ্রান্স।
১৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ১৩ নাম্বার স্থানটি দখল করেছে মার্কিন যুক্তরাজ্য (UK). দেশটি নারী-পুরুষ সমতায় স্কোর ছিল (৮.৮) ও মানবাধিকারে ছিল (৯.১)। তবে আয়ের ক্ষেত্রে দেশটি পেয়েছে মাত্র ২.৬ পয়েন্ট।
১২. নারী-পুরুষ সমতা (৮.২), মানবাধিকারে ৯ ও নিরাপত্তায় ৮.৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ তম স্থানে আছে বেলজিয়াম।
১১. নিরাপত্তায় ৮.৮ ও অন্যান্য বিষয়ে মাঝারি পয়েন্ট নিয়ে ১১ নাম্বার স্থানটি নিয়েছে লাক্সেমবার্গ (Luxembourg) দেশটি।
১০. দশের মধ্যে চলে এসেছে জার্মানি। দেশটি অন্যতম উন্নয়নশীল (৯.৮) দেশ হিসেবে বিবেচিত হলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো পয়েন্ট পায়নি।
৯. শান্তিপ্রিয় নিউজিল্যান্ড মানবাধিকার (৮.৬) ও নিরাপত্তায় (১০.০) পয়েন্ট নিয়ে নয় নাম্বার স্থানটি দখল করেছে।
৮. নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যেই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি মানসম্পন্ন ‘লাইফ এক্সপেক্টেন্সি’ গড়ে তোলার জন্য রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ নাম্বার স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির নারী-পুরুষ সমতায় পেয়েছে ৮.৩ পয়েন্ট ও মানবাধিকারে পেয়েছে ৮.৭ পয়েন্ট।
৭. নারী-পুরুষ সমতা (৮.৬), মানবাধিকার (৯.২), উন্নয়ন (৮.৪), নিরাপত্তা (১০) ও আয়ের সমতায় (৮) পয়েন্ট নিয়ে সাত নাম্বার স্থানটি পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।
৬. নারী-পুরুষ সমতায় দারুণ পয়েন্ট (৮.৯) ও আয়ের সমতায় (৯.৬) পয়েন্ট নিয়ে ফিনল্যান্ড রয়েছে ছয় নাম্বারে।
৫. নারী-পুরুষ সমতায় একদম পারফেক্ট ১০ পয়েন্ট পেলেও আয়ের সমতায় পিছিয়ে গিয়েছে ৬.৯ পয়েন্টে। তাই পাঁচ নাম্বার স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ড।
৪. আয়ের সমতায় ৯.৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নাম্বার স্থানটি পেয়েছে নরওয়ে।
৩. ভাবুন তো একবার তিন নাম্বার স্থানে কোন দেশটি থাকতে পারে? নিরাপত্তা, নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারে ৯ পয়েন্টের বেশি নিয়ে কানাডা তিন নাম্বার স্থানের দখল নিয়েছে।
২. গতবছরের শীর্ষ দেশ ডেনমার্ক এ বছরে নেমে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে আয়ের সমতায় সম্পূর্ণ ১০ পয়েন্ট রয়েছে শুধুমাত্র এই দেশটির দখলেই।
১. উন্নয়নে ১০, আয়ের সমতায় ৯.৯, মানবাধিকারে ৯.৮, নিরাপত্তা ও নারী-পুরুষ সমতায় ৯.৬ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৯ সালে নারীদের জন্য সেরা দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সুইডেন।
আরও পড়ুন: অনুপ্রেরণার আলো ছড়ানো মহীয়সী ৬ নারী
আরও পড়ুন: যে জিনিসগুলোর আবিষ্কারক ছিলেন নারী!