আগামীকালের দিনটি শুরু হবে আনকোড়া নতুন একটি বছরকে সাথে নিয়ে। পহেলা বৈশাখ বরণের দিনটি পালনে ও স্বাগত জানাতে নিজেকে সাজানো চাই পরিপাটিভাবে। এবারের বাংলা বছরের প্রথম দিনটিতে রোদের উপস্থিতি থাকবে বলা হলেও, বৃষ্টি দেখা দেওয়ার সম্ভবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তাই বাইরে বের হতে চাইলে কিংবা ঘরোয়া আয়োজনে, কেমন হওয়া চাই এবারের বৈশাখের সাজটি, সেটাই জানানো হয়েছে বার্তা লাইফস্টাইলের আজকের ফিচারটিতে।
প্রথমেই মুখের ত্বককে ক্লিনজারের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে, যদি বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে। সানস্ক্রিন সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে বিবি ক্রিম ব্যবহারের পর ত্বকের শেডের সঙ্গে মিল ফেসপাউডার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের কালচা দাগ ও চোখের নিচের ডার্ক আই ঢাকতে ব্যবহার করতে হবে কনসিলার। শেষে ব্লাশ-অনের ছোঁয়া মুখে এনে দেবে প্রাণের সঞ্চার। যেহেতু রোদ ও গরম আবহাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, তাই ত্বকে বাড়তি কিছু ব্যবহার না করাই ভালো।
ত্বকের পরেই চোখের সাজের দিকে খেয়াল দিতে হবে। পহেলা বৈশাখ মানেই রঙের উপস্থিতি। তাই চোখের সাজে রঙের উপস্থিতি ফুটবে বেশি। কালচে ও ডার্ক স্মোকি আই এড়িয়ে বাহারি রঙের দিকে প্রাধান্য দিতে হবে। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে ও কন্ট্রাস্ট রঙে চোখকে সাজালে দারুণ মানাবে।
টেনে বা ক্যাটস আই নকশায় আইলাইনার দেওয়া যেতে পারে। অথবা চোখের উপরে মোটা দাগে ও অল্প টেনে। সাথে মাশকারার প্রলেপে চোখের পাতাগুলোকে গুছিয়ে নিতে হবে।
চোখের সাজের মাঝেই পরে আইভ্রু আঁকা। চোখের সাজ পরিস্ফুটিত করতে আইভ্রু এঁকে নিতে হবে সঠিক আকারে।
লাল-সাদা থেকে বেরিয়ে এখনকার সময়ে বিভিন্ন রঙের বর্ণীল পোশাক পরার চল এসেছে। তবে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি যে রঙেরই হোক না কেন, ঠোঁটের সাজে লাল, মেরুন, উজ্জ্বল ম্যাজেন্টা, রাণী গোলাপি রংগুলোই বেশি ভালো দেখাবে।
ঘরে থাকলে চুল ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। সাথে স্ট্রেইট কিংবা কার্ল করে নেওয়া যেতে পারে পছন্দমতো। তবে বাইরে বেরুনোর ক্ষেত্রে আলগোছে হাতখোঁপা করে ফুল গুঁজে নিলে মানাবে বেশি।
মুখের সম্পূর্ণ সাজ শেষে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ঘামে কিংবা পানিতে মেকআপ সহজে নষ্ট হবে না। শাড়ি বা কুর্তি যাই হোক না কেন কপালে টিপ না থাকলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে পুরো সাজের আয়োজন।
আরও পড়ুন: উৎসব যেন চুলের ক্ষতি না করে!