ব্যাটারি ফুরিয়ে যাচ্ছে সময়ের চাইতে অনেক দ্রুত। বারংবার হ্যাং করছে অ্যাপ চালানোর সময়। স্বাভাবিকভাবেই দোষটা তখন মোবাইল কোম্পানির উপরেই দেওয়া হয়।
কিন্তুই নিজের ভুলে ও মোবাইল চালানোর অসাবধানতার ফলেই যে এমন সমস্যা দেখা দেয় সেটা আমরা ভুলে যাই। মোবাইলের যথেচ্ছা ব্যবহার, অ্যাপস ও পারমিশনের লাগামহীনতাই মূলত মোবাইলের আয়ু দ্রুত কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। শখের গ্যাজেটটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে তা টেকসই হবে লম্বা সময়ের জন্য। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো সাধারণত করা হয়, তার কয়েকটি জেনে রাখুন।
মোবাইল ফোনের আয়ু যত বাড়তে থাকে, তার কার্যকারিতা ততই কমতে থাকে। ইনকামিং কল কিংবা ম্যাসেজের জন্য ভাইব্রেশন চালু রাখা যেতে পারে। তবে ছোটখাটো সকল ধরনের নোটিফিকেশনের জন্য ভাইব্রেশন মুড চালু রাখার ফলে মোবাইলের আয়ু কমে যেতে থাকে সময়ের চাইতে অনেক বেশি দ্রুত।
আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে অব্যবহৃত অ্যাপস ব্যাটারির আয় কমিয়ে দেয়। হুট করে কোন অ্যাপ চালু করার পর সেটা পুনরায় আর ব্যবহার না করে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে দেওয়ার অভ্যাসটি কমবেশি প্রায় সবার মাঝেই আছে। এতে করে ব্যাটারির বাড়তি কাজ করতে হয়। ব্যাটারির উপর চাপ কমাতে ব্যাকগ্রাউন্ডের অব্যাবহৃত অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিতে হবে ব্যবহারের পরপরই।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের জন্য লোকেশন পারমিশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, কারণ ইউজার হিসেবে আপনার সঠিক অবস্থান জানানো প্রয়োজন। তবে এমন ধরনের অ্যাপস ছাড়া অন্যান্য অ্যাপসের ক্ষেত্রে লোকেশনের পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই অপ্রয়োজনীয় কিংবা র্যানডম অ্যাপসের ক্ষেত্রে বাড়তি পারমিশন দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
মোবাইলের ব্যাটারি সবচেয়ে বেশি ড্রেইন হয় স্ন্যাপচ্যাট, গুগল ম্যাপস, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন ও ফেসবুক অ্যাপসের জন্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, যারা মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত থাকে কিংবা মোবাইলে ফেসবুক কম ব্যবহার করেন, তাদের মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু অন্ততপক্ষে ২০ শতাংশ কম খরচ হয়। এই অ্যাপসগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি প্রয়োজনের চাইতে ৩০-৪৫ শতাংশ বেশি খরচ হয়।
অনেকেই মোবাইলের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা একেবারে কমিয়ে রাখেন। ঠিক তেমনিভাবে অনেকেই মোবাইলের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি বাড়িয়ে রাখেন। স্ক্রিনের বাড়তি উজ্জ্বলতা ব্যাটারির পাশাপাশি মোবাইলেরও ক্ষতি করে।
ঘুমানোর সময় ভুলবশত মোবাইল বালিশের নিচে চলে যায়। এতে করে মোবাইলের উত্তাপ বেড়ে আগুন ধরার সম্ভবনা তৈরি হয়। এর পাশপাশি মোবাইলের ব্যাটারির আয়ুও কমে যায় বাড়তি উত্তাপের ফলে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি ব্যবহারের অপরিহার্য কিছু নিয়মনীতি
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যবহারে হন যত্নশীল