ছোট-বড় সবার জন্য খেজুর

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-12-27 20:07:45

আজ থেকেই শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস। পুরো মাস জুড়ে সবার ইফতারিতে যে খাবারটি অবশ্যই থাকে সেটা অন্যতম উপকারী, সুস্বাদু ও পরিচিত ফল খেজুর। বেশ কয়েক প্রকারের খেজুর থেকে পছন্দসই খেজুরটি যদি ইফতারিতে না থাকে, তবে ইফতারি যেন অপূর্ণ রয়ে যায়।

ভিটামিন সমূহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার, জিংক, খাদ্যআঁশ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমূহ, প্রদাহ বিরোধী উপাদান ও টিউমার প্রতিরোধে কার্যকর এই ফলটি বাড়ির ছোট-বড়, সকল সদস্যের খাওয়া প্রয়োজন নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য। শুধু রমজানের এই এক মাস নয়, পুরো বছর জুড়েই খেজুর খাওয়ার অভ্যাসটি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে খুব সহজেই।

আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন খেজুর খাওয়ার চমৎকার কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

শারীরিক শক্তির অন্যতম চমৎকার উৎস
খেজুরে থাকে প্রাকৃতিক চিনি তথা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। প্রাকৃতিক চিনির উৎস খেজুর খাওয়ার ফলে শারীরিক অলসতা বা ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায় এবং কাজ করার শক্তি পাওয়া যায়। 

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
এক গবেষণাপ্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, খেজুর মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা খাদ্যআঁশের পাশাপাশি ফেনলিক ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যাফেইক অ্যাসিড মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিতে ও ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে কাজ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়
খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের সাথে শরীরের মানিয়ে নিতে বেশ কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন হয়। লম্বা সময় পানি ও খাদ্য গ্রহণ না করার ফলে শরীর শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। খেজুরে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যআঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাবে। 

প্রতিরোধ করে হৃদরোগ
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে আনে বলে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে হৃদরোগের আশংকা কমে যায় বেশ অনেকটা। এছাড়া শুকনো এই ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্ট্রোকের সম্ভবনাও কমায়। অন্যদিকে রক্ত চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে পটাশিয়াম।

ভালো রাখে হাড়
নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা থেকে জানানো হয়, খেজুরে রয়েছে বরোন, যা হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য দারুণ প্রয়োজনীয় এক উপাদান। এছাড়া এতে থাকা ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে সুস্থ রাখতে ও হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে।

কমায় অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব
খেজুরের সবচেয়ে চমৎকার বিষয়টি হলো এতে রয়েছে সালফার, যা বেশিরভাগ ফলেই পাওয়া যায় না। খেজুরে থাকা সালফার অ্যালার্জির প্রাদুর্ভাব ও প্রভাব কমাতে কাজ করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর