সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ি আম কিনবেন, পরিবারের মানুষের মুখে পাকা আম তুলে দেবেন। কিন্তু যে সকল শিশুরা পথে পথে ঘুরে বেড়ায়, দুই বেলা ঠিকভাবে ভাতের জোগান হয় না যাদের, তাদের মুখে পাকা আম তুলে দেবে কে? এমনটা কখনো ভেবেছেন কী?
এ বছরে পথ শিশুদের জন্যে বেশ চ্যালেঞ্জিং পথে নামছে ‘আমরা খাঁটি গরিব’ নামক প্রতিষ্ঠান ও এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে কাজ করা স্বপ্নবাজ মানুষেরা।
২০০৯ সালে বন্ধুদের গল্পে আড্ডায় পথশিশুদের জন্য কিছু করতে চাওয়ার প্রয়াস থেকে দুই বন্ধু রাকিব কিশোর ও রহিত হাসান কিশলু’র হাত ধরে গড়ে ওঠা এই উদ্যোগটি ইতোপূর্বেও পথশিশুদের জন্য কাজ করেছে। বর্তমানে ‘আমরা খাঁটি গরিব’ উদ্যোগটির সার্বিক দেখভাল করছেন শাহাদাত জামান সৈকত, তিথি হোসেন ও নাসিরুল আলম মন্ডল।
বার্তা২৪.কম থেকে সৈকতের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানালেন, ফেসবুকভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ২০০৯ থেকে শুরু হলেও মাঝে চার বছর বন্ধ ছিল। এই বছরে শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। সামনে আসছে ‘ফান্ড রেইজিং মেলা- আম উৎসব ২০১৯’ নামক মেলা। যে মেলায় অর্জিত আয় থেকে আম কেনা হবে পথ শিশুদের জন্য।
মূলত সাতটি বিভাগে চলে এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। তবে এবারেই ঢাকা বিভাগের জন্য নেওয়া হয়েছে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। মেলার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত স্বেচ্ছাসেবীরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের পণ্য।
আগামী ৩১ মে (শুক্রবার) ২০১৯ এ পরিবাগে অবস্থিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একদিনের এই মেলাটি। হাতে তৈরি নানান ধরনের অলংকার, কি রিং, টিপ, ড্রিমক্যাচার, বাসন, হাতে আঁকা টি-শার্ট, হাতে মেহেদী দেওয়া এবং মেলায় তাৎক্ষণিকভাবে জুতায় পছন্দসই ডিজাইন আঁকিয়ে নেওয়াসহ পুরনো বইয়ের সংগ্রহ থাকবে মেলা জুড়ে।
সৈকত জানান, বরাবরই তাদের উদ্যোগে ভালো সাড়া পেয়েছেন। মানুষজন সম্মতি জানিয়েছেন এমন উদ্যোগে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম নেই।
সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই মেলাটি চলবে রাত আটটা পর্যন্ত। ঈদে নিজের জন্য কিংবা প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনার মাধ্যমে কোন পথশিশুর মুখে আম তুলে দেওয়া গেলে কিন্তু দারুণ হয়। আমরা খাঁটি গরিব প্রতিষ্ঠানটির চমৎকার এই উদ্যোগ সফল করতে সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মেলার আয়োজন থেকে।
আরও পড়ুন: স্কুটি চালিয়ে দুই তরুণীর বাংলাদেশ জয়
আরও পড়ুন: অন্যরকম এক ‘চাঁদের হাট’