রোজার শেষ সময়ে জমজমাট পাঞ্জাবির বাজার

অনুষঙ্গ, লাইফস্টাইল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 11:37:29

নতুন পাঞ্জাবিতে ঈদের আনন্দ অতুলনীয়। ঈদে পুরুষের প্রথম পছন্দ পাঞ্জাবি। ঈদে নারীদের আর্কষণ থাকে শাড়ির দিকে। তেমনিভাবে সব বয়সের ও পেশার পুরুষের ঝোঁক থাকে পছন্দসই পাঞ্জাবির প্রতি। ঈদের সকালে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্যে হলেও চাই নতুন পাঞ্জাবি।   

রমজানের শেষ সময়ে এসে তাই মার্কেটগুলোতে বেড়েছে ভিড়। ক্রেতারা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন পাঞ্জাবি কেনার দিকে। প্রতি বছরের মতো এবারও পুরুষরা খোঁজ করছেন অভিজাত ও আধুনিক ডিজাইনের পাঞ্জাবির। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী তাই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাজির হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে।

রোজার শেষ প্রহরে পাঞ্জাবি কেনা-বেচা ঘিরে জমে উঠেছে দোকানপাট। রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, গুলিস্থানের বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে পাঞ্জাবি কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়।

নকশা, রঙ দেখে পাঞ্জাবি পছন্দ করছেন ক্রেতারা। বাজারে আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পাশাপাশি তাঁত-সিল্কের পাঞ্জাবিও পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাশন সচেতন তরুণেরা নিজের পছন্দমতো পাঞ্জাবি কিনছেন।

দাম তেমন একটা বাড়েনি বলে মনে করেন এলিফ্যান্ট রোডে পাঞ্জাবি কিনতে আসা এক তরুণ। নিজের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, বাজারে ৮০০ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে।

আড়ংয়ের একজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, এবারে ঈদের সংগ্রহে খুব সাধারণ থেকে গর্জিয়াস সব ধরনের পাঞ্জাবিই রয়েছে। বিদেশি পাঞ্জাবির থেকে বাজারে দেশি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবির চাহিদাই বেশি।

উৎসবে সবাই এখন দেশি পোশাক পরতেই বেশি পছন্দ করে। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, ‘আমরা বাইরের দেশের পাঞ্জাবির থেকে অনেক ভালো পাঞ্জাবি বানাতে পারি। তাই ক্রেতারা দেশীয় পণ্যের ওপর ভরসা রাখছে।’

জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ইনফিনিটির একজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কটন, সিল্ক, এন্ডি, জ্যাকার্ড কটন, জয়সিল্ক, সিল্কি কটনসহ বিভিন্ন কাপড় ব্যবহার করে দেশেই পাঞ্জাবি তৈরি করা হচ্ছে। পাঞ্জাবির দাম এ বছর তেমন একটা বাড়েনি বলেও মন্তব্য করে এই বিক্রয়কর্মী।

আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মী সোহরাব জানান, এবারে ঈদে পাঞ্জাবি বিক্রির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। ঈদের জন্য সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবিই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঈদকে ঘিরে সবার মাঝেই পাঞ্জাবির চাহিদা থাকে। তবে সাধ্য অনুযায়ী রকমফের দেখা দেয় পাঞ্জাবি কেনায়। নিজের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বাছাইকৃত শোরুম ও দোকান থেকে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দসই পাঞ্জাবিটি।

ঈদের পাঞ্জাবি যেখান থেকেই কেনা হোক না কেন, ভাঁজ ভাঙা নতুন পাঞ্জাবি সবসময়ই আনন্দ ও ভালোলাগা নিয়ে আসে ঈদ উৎসবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর