এই ভাবনাতেই অস্থির হয়ে উঠতে হয় যেন। প্রিয় বাবার জন্য বাবা দিবসে (১৬ জুন) কোন জিনিসটি উপহার হিসেবে সবচেয়ে সেরা হবে, কোন জিনিসটি সে পছন্দ করবে- সেটা ভেবেই দিন পার হয়ে যায়।
বাবাকে ভালোবাসার জন্য, বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য নিশ্চয় ধরাবাঁধা একটি দিনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু একটা বিশেষ দিন প্রিয় মানুষের জন্য বিশেষভাবে পালন করা হলে কোন ক্ষতি তো নেই।
বাবা দিবসে বাবার জন্য বিশেষ কিছু কেনা, বাবাকে চমকে দেওয়া, একসাথে গল্প, হাসি একটু খুনসুটি- এমনটাই তো চাওয়া সবার। দিনটিতে আরও খানিকটা রঙ যোগ করবে বাবার জন্য কেনা উপহার।
বাবার জন্য উপহারটি কী হতে পারে? প্রথম পছন্দেই মাথায় আসবে পোশাকের নাম। শার্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট কেনা যেতে পারে আজিজ সুপার মার্কেট অথবা যেকোন বুটিক হাউজ থেকে। সঠিক মাপ জানা থাকলে ও বাবার পছন্দ সম্পর্কে ধারণা থাকলে পোশাক হতে পারে পারফেক্ট উপহার।
বাজেট যদি বেশি থাকে তবে উপহার হিসেবে কিনে নিতে পারেন ইয়ার পড। যেহেতু এখন সবার হাতে হাতেই স্মার্টফোন, সেক্ষেত্রে একেবারেই লেটেস্ট প্রযুক্তির এই গ্যাজেটটি উপহার হিসেবে বেশ আকর্ষণীয় হবে। ইয়ার পডের মানের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ঘরানার ইয়ার পড।
ইয়ার পড ছাড়াও ভালো মানের ইয়ারফোন কিংবা স্পীকার রাখতে পারেন গ্যাজেটের উপহারের তালিকায়।
তবে আপনার বাজেট যদি সীমিত হয়, তাহলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সীমিত বাজেটের মাঝেও বেশ চমৎকার ও ইউনিক উপহার কেনা যাবে।
এখনকার সময়ে পরিচিত গিফট শপ কিংবা অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাস্টমাইজড কি রিং ও মগ বিক্রি করছে। বাবার জন্য কোন ম্যাসেজ কিংবা বাবা দিবসের জন্য বিশেষ লেখাসহ এমন গিফট আইটেম পাওয়া যাবে নানান রকমে, নানান দামে। সেই সাথে উপন্যাস, কবিতার বই, গাছ, কার্ড হোল্ডারও দেওয়া যেতে পারে উপহার হিসেবে।
এছাড়া বেল্ট, জুতা, ওয়ালেট, হাতঘড়ি কিংবা পারফিউমের মতো অনুষঙ্গ তো উপহার হিসেবে থাকছেই।
মোদ্দাকথা হলো, বাবার জন্য ভালোবেসে যেটাই কেনা হোক না কেন, তাতে জড়িয়ে থাকবে ভালোবাসা, মমতা।