এক কাপ পরিমাণ কফি থেকে কতখানি ক্যাফেইন পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে ধারণা আছে কি?
কতখানি ক্যাফেইন থাকে সেটা জানানোর আগে জানিয়ে রাখি, প্রতি কাপ কফিত্যে ক্যাফেইনের মাত্রা ভিন্ন হয়। পাশাপাশি থাকা দুই কাপ সমপরিমাণ কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রা কখনোই সমান হবে না।
এমনটার কারণ হলো, প্রতি আউন্স তরলে মিলিগ্রাম হিসেবে ক্যাফেইনের মাত্রার পার্থক্য দেখা দেয়। ফলে পরপর দুই কাপ কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রা কম-বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি কারণ বিদ্যমান থাকে কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রার তারতম্যের পেছনে। কফি গুঁড়ার আকৃতি, পানির তাপমাত্রা, সময়, কফি জ্বালানোর পদ্ধতির মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর উপরে নির্ভর করে ক্যাফেইনের মাত্রা। এমনটাই জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিল ফাউন্ডেশনের সায়েন্স কম্যুনিকেশনের ডিরেক্টর মেগান মেয়র।
তিনি আরও জানান, কফি বিনস, কফি রোস্টিং টেকনিকের উপরেও কফির ক্যাফেইনের মাত্রার তারতম্য ঘটে।
হালকা ব্লন্ড রোস্টেড কফিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অধিক ক্যাফেইন থাকে। এমনকি ডার্ক রোস্টেড কফির চাইতেও এতে ক্যাফেইনের মাত্রা থাকে বেশি। যদিও অবশ্য ডার্ক রোস্টেড কফির ফ্লেভার বেশি হয়।
এমনতর নানান রকম ফ্যাক্টরের উপরেই নির্ভর করে, কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রার উপস্থিতি। এবারে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিভিন্ন ধরণের এক কাপ পরিমাণ কফি থেকে সাধারণত কতখানি পরিমাণ ক্যাফেইন পাওয়া যাবে ।
১. জ্বাল দেওয়া কফি (ব্রিউড কফি): ৭০-২০০ মিলিগ্রাম (গড়ে ৯৫ মিলিগ্রাম)।
২. ডিক্যাফ কফি: ২-৪ মিলিগ্রাম (গড়ে ৩ মিলিগ্রাম)।
৩. এসপ্রেসো কফি: ৪৭-৭৫ মিলিগ্রাম (গড়ে ৬৩ মিলিগ্রাম)।
৪. ইন্সট্যান্ট কফি: ৬৫-৮০ মিলিগ্রাম।
৫. সিঙ্গেল শট ল্যাটে: ৪৭-৭৫ মিলিগ্রাম।
কফি শপের কফি হোক আর ঘরে তৈরি কফি, অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণের বেশ কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
যদিও কফিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে কাজ করে, তবুও কফি গ্রহণের মাত্রা বেশি হলেই দেখা দিতে পারে- ঘুমের সমস্যা, মানসিক অশান্তি, হার্ট প্যালপিটেশনসহ অন্যান্য উপসর্গ।
তবে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ (তিন-চার কাপ) ঘরে তৈরি কফি গ্রহণ নিরাপদ এবং এ ক্ষেত্রে বড় ধরণের কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে না।
আরও পড়ুন: কতটুকু কফি পান নিরাপদ?
আরও পড়ুন: কফি বন্দনা!