বয়স পঁচিশের গণ্ডি পেরোনোর আগেই এ দেশের প্রতিটি মেয়ের বিয়ের জন্য তোরজোড় শুরু হয়ে যায়।
নিজের পরিবার, সংসার, সন্তানসন্ততির স্বপ্ন সবারই থাকে। জীবনের একটা পর্বে এসে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই চায় বিয়ে করে থিতু হতে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, বিয়ে করে সুখী কতজনে? নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, বিয়ে করে সুখী কতজন নারী?
নিজের চিরচেনা গণ্ডির বাইরে এসে সম্পূর্ণ অথবা আধা-পরিচিত একটি পরিবারের সাথে মানিয়ে নেওয়া, দায়িত্ব নেওয়া, সবকিছু সামলানোর ঝক্কি মাথায় নেওয়া, সবার মন রক্ষা করে চলা- একজন নারীর জন্য কতটা সুখ বয়ে আনে?
এতদসত্ত্বেও বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, ছোট ভাই-বোনদের বিয়ে আটকে আছে, বয়স বেড়ে যাচ্ছে, সময় চলে যাচ্ছে- এমন নানান চিন্তায় বিয়ে করার জন্য প্রতিটি অবিবাহিত নারীই নিজের ভেতর থেকে বিয়ে করার তাগিদ অনুভব করেন, পুরোপুরিভাবে বিয়ে জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত না হলেও।
তবে এ বিষয়ে একটি চমৎকার সুখবর জানানো যায়। বিহাভিয়েরাল সায়েন্সের প্রফেসর পল ডল্যান দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অন্যান্য গোষ্ঠীর মাঝে বিবাহিতরা তুলনামূলক সুখী। তবে তা শুধু তখনই, যখন সঙ্গী তাদের সাথে একই ঘরে থাকে এবং তাদের সামনে প্রশ্ন করা হয়- কেমন আছেন তারা। কিন্তু যখনই সঙ্গী ঘরে থাকেন না বা ঘরে থেকে বাইরে যান, তখনই ঘটনা পাল্টে যায়।’
এই বক্তব্যের সাথে তিনি যোগ করেন, ‘সবচেয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুখী হলেন অবিবাহিত ও নিঃসন্তান নারীরা।’
তার লেখা ‘হ্যাপি এভার আফটার: এস্কেপিং দ্য মিথস অব দ্য পারফেক্ট লাইফ’ বইটা প্রকাশের কিছুদিন পরেই তিনি এমন বক্তব্য রাখেন। দ্য গার্ডিয়ানের মতে যেখানে অ্যামেরিকান টাইম ইউজ সার্ভে (ATUS) এর তথ্য ও পরিসংখ্যান উঠে আসে। যে পরিসংখ্যানে অবিবাহিত, বিবাহিত, সেপারেটেড, ডিভোর্সি ও বিধবাদের সুখে থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
চমকপ্রদভাবে দেখা গিয়েছে, বিবাহিত পুরুষরা বেশ সুখী হয়। কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, বিয়ে ও বিবাহিত জীবনের ফলে নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ডল্যান বলেন, ‘পুরুষরা গাঁটছড়া বাঁধার পর তুলনামূলক কম ঝুঁকি নেন, কাজ করেন, টাকা আয় করেন এবং তাদের আয়ুও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে বিয়ের ফলে নারীদের আয়ু কমে যায় বেশ অনেকটা।’
এ বিষয়ে আরও বড় ও বিষয় গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহের কাজে জোরেশোরে নামবেন বলেও জানান প্রফেসর।
আরও পড়ুন: নারীদের জন্য বিশ্বের সেরা ১৯ দেশ!
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের সুস্থতায় মিউজিক!