বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ দৈনিক বিভিন্ন ধরনের কফি পান করে থাকেন। উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন সমৃদ্ধ কফির অসংখ্য উপকারিতার মাঝে প্রধান কয়েকটি উপকারিতা হলো- ক্যানসার প্রতিরোধ করা, বিষণ্ণতা কমানো, মাথাব্যথা নিরাময় করা প্রভৃতি।
কফি পানের হরেক উপকারিতা থাকলেও, বিশেষভাবে ব্ল্যাক কফি পানে রয়েছে দারুণ কাঙ্ক্ষিত একটি উপকারিতা। নিয়মতি ব্ল্যাক কফি পানে বাড়তি ওজনকে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে সেটা হতে হবে চিনি ও দুধবিহীন সম্পূর্ণ ব্ল্যাক কফি।
কফির মতো এতো পরিচিত ও সহজলভ্য একটি পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে, এটা অনেকেই হয়তো জানেন না। মূলত কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও বিশেষ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। বিস্তারিত এখানে তুলে ধরা হলো।
ব্ল্যাক কফিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে থাকে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। যা ওজন কমাতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। খাবার খাওয়ার পর ব্ল্যাক কফি পানে খাদ্য উপস্থিত গ্লুকোজের উৎপাদনের হার স্লথ হয়ে যায়। একইসাথে কমে যায় ফ্যাট উৎপাদনের হারও।
ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ক্ষুধাভাবকে কমিয়ে আনে। এক কাপ ব্ল্যাক কফিতে থাকে মাত্র ৫.৪ ক্যালোরি, যা ক্যালোরিবিহীন পানীয় হিসেবেই পরিচিত।
উপরেই বলা হয়েছে কফি পানে শরীরের মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে কফি পানে সাধারণের চাইতে বেশি ক্যালোরি বার্ন হয় এবং ওজন দ্রুত কমে। এছাড়া স্বল্পমাত্রার ক্যালোরিযুক্ত এই পানীয় ৩-৪ কাপ পর্যন্ত পান করা যাবে নিশ্চিন্তে।
শরীরে খুব বেশি মেদ না থাকা সত্বেও অনেকের ওজন বেশি থাকে শরীরে অতিরিক্ত পানি থাকার ফলে। কফি পানের ফলে মূত্র বিসর্জনের মাত্রা বেড়ে যায় কিছুটা। এতে করে বাড়তি পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। পানির ফলে শরীরে যে বাড়তি ওজন তৈরি হয়, তা অনেকটা কমে যায়।
আরও পড়ুন: পৃথিবী বিখ্যাত পাঁচ ব্যয়বহুল কফি!
আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?