আলু:
আলু ঠান্ডা স্থানে ভালো থাকে, তবে ফ্রিজ অতিরিক্ত ঠান্ডা। তাই ফ্রিজে আলু রাখলে শ্বেতসার ভেঙে যায় এবং খেতেও স্বাদ লাগে না।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বাইরের থেকে ফ্রিজে রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজের গন্ধ ফ্রিজের অন্য খাবারগুলোকেও গন্ধ করে ফেলে। পেঁয়াজ বাইরে রাখা ভালো, তবে তা সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে।
যদি কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখতে চান, তাহলে কোনো ব্যাগ বা নির্দিষ্ট ড্রয়ার ব্যবহার করেন।
রসুন
ফ্রিজের আর্দ্রতায় রসুনের গন্ধ চলে যায়, গুণাগুনও থাকে না। ওই রসুন খাবারে ব্যবহার করলে সেই খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়।
তরমুজ
তরমুজ ও এ জাতীয় খাবার সাধারণত ফ্রিজে না রেখে খাওয়ায় ভালো। এ ফলগুলো ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা ভালো। ফ্রিজে রাখলে এ ফলগুলোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হ্রাস পায়।তবে কাটার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা ফ্রিজে রাখা যায়।
মধু
মধু সবসময়ই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়। ফ্রিজে রাখলে মুধ দানা বেধে যেতে পারে। যা ব্যবহার অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ব্রেড
বেকারি বিশেষজ্ঞরা পাউরুটি ফ্রিজে না রাখারই কথা বলেন। ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি শুকিয়ে যায়।
বাদাম
সাধারণত বাদাম কেউ ঠান্ডা খেতে চান না। তাই বাদাম ফ্রিজে না রেখে এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করা ভাল।
কফি
কফি সাধারণত এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে বলা হয়। ফ্রিজে রাখলে আর্দ্রতার কারণে কফি বীজ বা পাউডার নষ্ট হয়ে যায়।
টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে সেগুলো নিস্তেজ ও স্বাদহীন হয়ে পড়ে। টমোটো যদি অল্প পাকা হয় তাহলে হালকা রোদ আসে এমন স্থানে রাখুন। আর বেশি পাকা হলে রান্না করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখাই ভালো।
সস
সসে ভিনেগার থাকা প্রচুর ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে- এ কারণে এগুলো বাইরে রাখাই ভালো।
চকলেট
কোল্ড চকোলেট-হ্যাজলনাল্ট ফ্রিজে রাখলে স্বাদও হারিয়ে যায়। এগুলো খোলা পাত্রে এক মাসও রাখা যায়।
অ্যাপেল
আপেলের মিষ্টি ও রসালো স্বাদ অক্ষত রাখার জন্য সবসময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ফ্রিজে রাখলে আপেলে স্বাদ নষ্ট হয়, চামড়াও শুকিয়ে যায় এবং খেতে বিস্বাদ লাগে।