বাম হাত দিয়ে লেখার বিষয়ে খুব একটা তথ্য জানা ছিলো না আমাদের। এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানুষের ডিএনএ এর সাথে বাম হাতে লেখার অভ্যাসটি সম্পর্কযুক্ত এবং এ বিষয়টি পুরোটাই জেনেটিক্যাল।
এছাড়াও দেখা গিয়েছে যে, এই জেনেটিক ইন্সট্রাকশন খুব গভীরভাবে মস্তিস্কের কার্যকারিতা ও গঠনের সাথে জড়িত। বিশেষ করে আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশটি ভাষা নিয়ে কাজ করে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এর একটি দল তাদের গবেষণা থেকে এটাও জানিয়েছে, যারা বাম হাতে লেখেন ভাব প্রকাশের উপর তাদের দক্ষতা বেশি থাকে। জানা যায় প্রতি ১০ জনে একজন বাহাতি হয়ে থাকেন।
জমজ সন্তানদের উপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে তথ্য পেয়েছেন যে, এটা পিতামাতার কাছ থেকে ডিএনএর গঠনের মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে সন্তানেরা।
মার্কিন যুক্তরাজ্যের গবেষক দল ইউকে বায়োব্যাংকের ৪০০,০০০ জনের জেনেটিক কোডের তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন, যেখানে মাত্র ৩৮,০০০ জন বাহাতি ছিলেন।
দারুন ব্যাপার হচ্ছে গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, স্কিজোফ্রেনিয়া ও পারকিনসনস রোগের সম্ভাবনা বাহাতিদের মাঝে অন্যদের তুলনায় কিছুটা কম থাকে।
তবে এখনও অনেক দেশে ও সংস্কৃতিতে বাম হাতে লেখা ও বাম হাত ব্যবহার করাকে অশুভ ও অলুক্ষণে হিসেবে দেখা হয়।