ঠাণ্ডার সমস্যা দ্রুত কমাতে ক্যাপসিকাম

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-14 02:45:09

এ সময়ের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়।

কাশি, হাঁচি, সর্দি ও গলাব্যথার মতো ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব একবার দেখা দিলে সহজে ভালো হতে চায় না। ওষুধ সেবনেও বেশ লম্বা সময় প্রয়োজন হয় পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য। সাধারণত ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় কমলালেবুর রস কিংবা মুরগির স্যুপ পান করা হয়। কিন্তু এই দুইটি খাবার সেরে ওঠার জন্য একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। এ সময়ে প্রয়োজন আরও কিছু উপকারী খাদ্য উপাদান।

ন্যাচারাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ফ্রেড পেসক্যাট জানাচ্ছে, ঠাণ্ডার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সবার আগে খাদ্যাভ্যাসের উপরে জোর দিতে হবে, কারণ এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকে। ফলে অসুস্থতা দীর্ঘায়িত হতে থাকে। তার মনে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভিটামিন-সি, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য উপাদান গ্রহণের উপরে জোর দিতে হবে সবচেয়ে বেশি।

তার পরামর্শ অনুযায়ি অসুস্থতার সময়ে একজন পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ ভিটামিন-সি গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু ভিটামিন-সি এর উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে জেনে রাখুন লেবু ও কমলালেবু ব্যতীত কোন খাদ্য উপাদান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে।

১. লাল ক্যাপসিকাম: একটি মাঝারি আকৃতির লাল ক্যাপসিকাম থেকে দিনের ১৯০ শতাংশ পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া সম্ভব হবে।

২. ব্রকলি: মাঝারি আকৃতির একটি ব্রকলি থেকে দৈনিক চাহিদার ২২০ শতাংশ ভিটামিন-সি পাওয়া যাবে।

ব্রকলি

৩. স্ট্রবেরি: আটটি মাঝারি আকৃতির স্ট্রবেরি পূরণ করবে ১৬০ শতাংশ ভিটামিন-সি এর চাহিদা।

এবারে নজর দেওয়া যাক ম্যাগনেসিয়ামের দিকে। গবেষণার তথ্য মতে ম্যাগেনেসিয়ামের অভাব শরীরকে দুর্বল করে রোগের প্রাদুর্ভাব আরও বাড়িয়ে দেয়।

ঠাণ্ডা ও ইনফেকশনের সমস্যাকে কমাতে একজন পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৪২০ মিলিগ্রাম ও একজন নারীর ৩১০ মিলিগ্রাম পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। জেনে রাখুন কোন খাবারগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া সম্ভব হবে।

১. শুকনো করে ভাজা কাঠবাদাম: এক আউন্স পরিমাণ ভাজা কাঠবাদাম থেকে প্রতিদিনের চাহিদার ২০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে।

কাঠবাদাম

২. কচু শাক: আধা কাপ পরিমাণ সিদ্ধ কচু শাক থেকেও পাওয়া যাবে প্রতিদিনের ২০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম।

৩. চিনিবিহীন পিনাট বাটার: দুই টেবিল চামচ পরিমাণ পিনাট বাটার থেকে পাওয়া যাবে ১৩ শতাংশ পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম।

৪. মটরশুঁটি: আধা কাপ পরিমাণ মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে প্রতিদিনের ১৫ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম।

উপকারী এ সকল খাবার খাদ্য তালিকায় রাখার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল গ্রহণের দিকেও। ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় খাবার গ্রহণে ইচ্ছা একেবারেই কমে যায়। সেক্ষেত্রে তরল পানে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।

আরও পড়ুন: খোসাসহ নাকি খোসাবিহীন কাঠবাদাম?

এ সম্পর্কিত আরও খবর