নিজেকে ফিট ও ফাইন রাখতে চাইলে শরীরের ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে মাসল তথা পেশীর পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই ফিচারে জানানো হল এমন পাঁচটি সহজলভ্য ও উপকারী খাদ্য উপাদানের নাম, যা একইসাথে স্বাস্থ্যকর ক্যালোরির যোগান দেবে এবং পেশী গঠনে অবদান রাখবে।
ডিমে উপস্থিত উচ্চমাত্রার প্রোটিন সার্বিকভাবে পেশী গঠনের জন্য দারুণ কার্যকরি। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস যেমনটাই হোক না কেন, একটি ডিম অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। এছাড়া ডিমের কুসুমের উপকারী কোলেস্টেরল অথেরোস্ক্লেরোসিস (Atherosclerosis) প্রতিরোধ করে। এই সমস্যাটির জন্য আর্টারিতে ব্লক তৈরি হয় এবং রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। যা হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
বাদামের মাঝে কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম থেকে পাওয়া যাবে ফ্যাট, আঁশ ও প্রোটিনের চমৎকার সমন্বয়। এক মুঠো পরিমাণ কাজু অথবা কাঠবাদাম থেকে মিলবে ১৫০-১৭০ ক্যালোরি। দৈনিক সঠিক পরিমাণ বাদাম গ্রহণে ওজন না বাড়িয়েই স্বাস্থ্যকর ক্যালোরি ও পেশীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া সম্ভব।
শরীরের পেশী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে ডাল। এক কাপ পরিমাণ রান্না করা ডাল থেকে পাওয়া যাবে ১৮ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন ও ৪০ গ্রাম পরিমাণ ভালো মানের কার্বহাইড্রেট। বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি, ব্রাউন রাইস ও ডালের সংমিশ্রন পেশীর জন্য খুবই ভালো কাজ করবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে কচু শাকের অবদানের বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সবচেয়ে বেশি। তবে এই উপকারিতাটির পাশপাশি কচু শাক থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড যা ‘গ্লুটামাইন’ নামে পরিচিত। এই উপাদানটি পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে।
আপেলে থাকা পলিফেনল একইসাথে পেশী গঠনে অবদান রাখার পাশাপাশি পেশীর ক্লান্তিভাব প্রতিরোধেও অবদান রাখে। এছাড়া পলিফেনল বাড়তি ফ্যাট কমাতেও খুব ভালো কার্যকর।