বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হলো ২৮ই জুলাই। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে ৩২ কোটি ৫০ লাখ লোক হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রায় এক কোটি লোক হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত। আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যদের এ রোগ থেকে নিরাপদ রাখুন।
হেপাটাইটিস এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন। নিজে নিরাপদ থাকুন। অন্যকেউ নিরাপদ রাখুন।
হেপাটাইটিস_কি?
১.হেপাটাইটিস হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ যা যকৃতকে(কলিজা) আক্রান্ত করে তীব্র অথবা দীর্ঘস্থায়ী রোগ তৈরী করতে পারে।
২.হেপাটাইটিস B ভাইরাস HIV ভাইরাস থেকে ৫০-১০০ গুন বেশি সংক্রামক।
৩. পৃথিবীব্যাপী কোটি কোটি মানুষ হেপাটাইটিস B ভাইরাসে আক্রান্ত এবং প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর হেপাটাইটিস B এর কারনে মারা যাচ্ছে।
এই রোগ কিভাবে এবং কেন ছড়ায় ?
১.সংক্রমিত সুচেঁর মাধ্যমে রক্তদান, রক্তগ্রহণ বা সংক্রমিত রক্তগ্রহণ।
২.সংক্রমিত লোক বা বাহক হতে অন্য মানুষে সংক্রমন(টুথব্রাশ, ইঞ্জেকশনের সুচঁ, রেজার, ট্যাঁটু, সেলুন, ডেন্টাল প্রসিডিউর ইত্যাদির মাধ্যমে)
৩.জন্মের সময় বাহক মা থেকে নবজাতকে সংক্রমণ।
৪.যৌন মিলনের মাধ্যমে সংক্রমন।
কি কি লক্ষণ দেখা যেতে পারে এ রোগ হলে?
অধিকাংশ মানুষ এর মাঝে কোন লক্ষণ দেখা যায় না। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহব্যাপী কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হল:
*চোক,চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া
*হলুদ রঙ এর মূত্র
*অবসাদ
*বমি/বমি ভাব
*পেট ব্যাথা
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, হেপাটাইটিস B ভাইরাস দীর্ঘস্থায়ী যকৃতের সংক্রমণ করে, যা পরবর্তীতে লিভার সিরোসিস বা যকৃতের ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
এই রোগ আছে কিনা বোঝার উপায়:-
রক্ত পরীক্ষার (HBsAg Test) মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার শরীরে হেপাটাইটিস B ভাইরাস আছে কিনা।
প্রতিকার:-
এই সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ভালো উপায় হলো এই রোগের বিরুদ্ধে নিজের শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অর্থাৎ টিকা নেয়া। পরিবারের প্রত্যেকের HBsAg (Eliza) পরীক্ষা করাতে হবে।Negative হলে Vaccine নিতে হবে।হেপাটাইটিস-B এর ৪ টি ডোজ নিতে হয়।প্রথম ৩ টি ১ মাস পর পর এবং ৪র্থ ডোজটি প্রথম ডোজের ১২ মাস বা ১ বছর পর নিতে হয়। অর্থাৎ ০,১,২, ও ১২ মাস।
খাবার গ্রহণ ও মেলামেশাতেও হতে হবে সতর্ক। সতর্কতাই ঘাতক ব্যাধি হেপাটাইটিস থেকে আপনাকে নিরাপদ রাখবে।