ঈদে শুধু মাংসই নয়, তৈলাক্ত, চিনি ও মশলাযুক্ত খাবারও খাওয়া হয় প্রচুর। এক-দুইদিনের খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের ফলে অনেকেরই হজমজনিত সমস্যার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে অন্যান্য শারীরিক অস্বস্তি। তাই এ সময়ে প্রয়োজন ডিটক্স ওয়াটার।
ঘরে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করা দারুণ সহজ। হাতের কাছে সহজলভ্য প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণেই তৈরি হয় উপকারী এই পানীয়টি। এর জন্য প্রয়োজন হবে এক জগ পানি, টুকরো করে কাটা শসা, পুদিনা পাতা, একটি লেবুর রস এবং এক ইঞ্চি আদা কুঁচি। সকল উপাদান পানিতে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে অবে ৩-৪ ঘন্টার জন্য। এরপর এই ঠান্ডা পানীয় পান করতে হবে সারাদিনে কিছুক্ষণ পরপর।
খাদ্য ভালোভাবে হজম করতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আর্দ্রতা খুবই জরুরি। আর্দ্রতা মানেই পানি, এছাড়া খাদ্য পরিপাক করতে আঁশও প্রয়োজনীয়। এই দুইটি প্রয়োজন মেটাবে ডিটক্স ওয়াটার।
হজমজনিত সমস্যা কিংবা শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার প্রভাব মনের উপরেও পরে। এতে করে সহজেই মন-মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সাথে শারীরিক এনার্জির মাত্রাও কমে যায়। ডিটক্স ওয়াটার পানে সহজেই এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।
সামান্য ডিটক্স ওয়াটারে কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে? ডিটক্স ওয়াটার তৈরিতে বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজির মিশ্রণ প্রয়োজন হয়। যা পরোক্ষভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে।
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে ডিটক্স ওয়াটার সাহায্য করবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। পরীক্ষার ফল থেকে দেখা যায় ডিটক্স ওয়াটার মেটাবলিজমের হার স্বল্প মাত্রায় হলেও বৃদ্ধি করে। মেটাবলিজম যত বেশি হবে, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং ওজন কমবে।