নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ সংলগ্ন পুকুর থেকে সিএনজিসহ আব্দুল্লাহ (২০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় শহরের মাসদাইর এলাকায় ওই পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর তাকে সিএনজিসহ পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল। নিহত আব্দুল্লাহ একই এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের বাবা হানিফ জানান, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকালে আব্দুল্লাহ এলাকার কয়েকজন ছেলের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। পরে তিনি ছেলেকে চড় থাপ্পড় দিয়ে শাসন করেন। এরপর সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
বুধবার ভোরে আমার মোবাইলে একজন সিএনজি ড্রাইভার ফোন করে বলেন আপনার ছেলে গুলিস্তানে আছে। তার কাছে সিএনজি ভাড়া নেই। আমি তখন তাকে বলি ওকে নিয়ে চাষাঢ়ায় এসে আমাকে ফোন দাও। আমি ভাড়া পরিশোধ করবো। এরপর আর কোনো ফোন পাইনি।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানায়, পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিহতের পেটে পানি নেই। জীবিত অবস্থায় পানিতে ডুবিয়ে দিলে পেটে পানি থাকত। তাকে হত্যার পর সিএনজির পেছনের সিটে বসিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও নিহতের স্বজন কাউকেই সন্দেহ করতে পারছেন না। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।