করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সব ট্রেনের অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। একটি আসন খালি রেখে যাত্রীদের টেনে বসতে হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্টেশন থেকে টিকিটবিহীন যাত্রী ট্রেনে উঠছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন খবরে রেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্টেশনে ব্লক চেকিং চালিয়ে ট্রেন থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে এবং জরিমানাও করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয় (পাকশী) থেকে জানা যায়, জয়পুরহাট রেলস্টেশনে গত বুধবার সারাদিন ব্লক চেক চালিয়ে রূপসা ও নীলসাগর এক্সপ্রেস থেকে বিনা টিকিটের যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয় এবং নামানো যাত্রীদের কাছে ট্রেনের উৎপত্তিস্থল থেকে জয়পুরহাটের দূরত্ব অনুযায়ী মোট ৩২ হাজার টাকা ভাড়া ও জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া ঢাকামুখী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে আকস্মিক ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৩ জন বিনা টিকেটের যাত্রীকে সান্তাহারে এবং ৭২ জন বিনা টিকিটের যাত্রীকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এই অভিযানেও ৫০ হাজার ৪০০টাকা ভাড়া ও জরিমানা আদায় করা হয় বলে জানা যায়।
এই সার্বিক বিষয় নিয়ে রেলওয়ের পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত দুদিন ধরে রূপসা ট্রেনে ব্যাপকহারে বিনা টিকিটের যাত্রী চলাচলের সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় বিনা টিকিটের যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ভাড়া ও জরিমানা আদায় করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রী ওঠার কারণে ট্রেনের কর্মরত অ্যাটেন্ডেন্ট, গার্ড, টিটিই ও নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নিরাপদ রেল চলাচলের জন্যে এরকম অভিযান নিয়মিত চলবে।’
এদিকে ঢাকার বাইরের স্টেশনগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেহেতু ঢাকার বাইরের রেল স্টেশনগুলো পুরোপুরি বাউন্ডারি দেওয়া নেই। ফলে যাত্রীরা যেকোনো দিক দিয়েই স্টেশনে ঢুকে পড়ছেন এবং টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে যাত্রা করবার চেষ্টাও করছেন।
তবে অনেক যাত্রী জরিমানা দিয়েও ট্রেনে যাত্রা করতে চান কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অনলাইনে অনেকের-ই টিকিট কাটার সক্ষমতা নেই। ফলে যাত্রীরা বলছেন অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারগুলোতেও সরাসরি যেন ট্রেনের টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।