পাবনা: পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনকেই উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদল। উদ্ধারকারীদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারী ও একজন শিশু।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ও ৮টায় নিখোঁজ থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল গণি ও ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের বরাত দিয়ে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর কলাম লেখক মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পারুলের মরদেহ এবং দুপুর দেড়টার দিকে স্বপন বিশ্বাসের শিশুকন্যা সাদিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে তারা। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটিও উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা।
তার আগে গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে উদ্ধার করা হয় ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণির স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলীর মরদেহ।
গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) ৮টার দিকে চলনবিলের চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাইকপাড়া ঘাট এলাকায় মোবাইলে সেলফি তুলতে গিয়ে ছই ভেঙে নৌকাডুবির এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পানিতে নেমে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
এদিকে খবর পেয়ে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উদ্ধার তৎপরতার খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। জেলা প্রশাসক পরিদর্শন শেষে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এছাড়া প্রথম উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া কিশোর সুমন হোসেনকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক।