করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ এনে ভারতে আটক ২৬৫ জন তাবলীগ জামাত কর্মীদের মধ্যে ১৪ জনকে ৪০ দিন কারাভোগ শেষে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ছাড়া পেয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। তবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস থাকতে পারে সন্দেহে ১৪ দিনের জন্য যশোরের গাজীর দরগা প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাত ১১টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ফেরতদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৫ জন তাবলীগ জামায়াতের কর্মী পাসপোর্ট যোগে ভারতে যায়। এসময় ভারতে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এ অবস্থার মধ্যে তাবলীগ কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর। পরে পুলিশ তাদের আটক করে উত্তর প্রদেশ সেন্টাল জেলে পাঠায়। পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘ ৪০ দিন কারাভোগ শেষে ১৪ জন ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে আসে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান বার্তা২৪.কম-কে জানান, ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশন মেডিকেল অফিসে পাঠানো হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, ফেরত আসা তাবলীগ কর্মীদের প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করেছেন। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজামায়াতে অংশ নিয়েছে। এছাড়া জেলেও থেকেছেন। তারা শরীরে করোনাভাইরাস বহন করছেন কিনা কিছুটা সন্দেহ থাকায় তাদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) রাখা হয়েছে। শঙ্কামুক্ত হলে ১৪ দিন পর পরবর্তী ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবেন।