কাফকোর সিএসআর ফান্ডের অর্থ বরাদ্দে অনিয়মে ক্যাব চট্টগ্রামের ক্ষোভ

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 22:35:13

চট্টগ্রামে অবস্থিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে সিএসআর নীতিমালাকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে খরচ না করে বরিশালে কবরস্থান উন্নয়নসহ, বিমানে বরিশাল আসা-যাওয়া ও খাবারের রেস্তোরাঁয় খাবার বিল বাবত কোটি টাকা খরচ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।

একই সাথে কাফকোর মতো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ফলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিপুল পরিবেশ বিপর্যয় হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে সাধারণ জনগণের জীবন জীবিকা ও পরিবেশ উন্নয়নে কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সুদর বরিশালের বিভিন্ন জায়গায় সিএসআর তহবিলের অর্থ ব্যয় করা দুর্নীতি ও অনিয়মের সামিল। এ ধরনের অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ক্যাব চট্টগ্রাম।

রোববার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, সিএসআর তহবিলের অর্থ ব্যয় করার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। আর কাফকো কর্ণফুলী নদীর ওপারে প্রতিষ্ঠা করায় অনেক মানুষ বসতি ও জীবন-জীবিকা হারিয়েছে। একই সাথে কাফকোর কারণে কর্ণফুলী নদীর মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হয়েছে।

কর্ণফুলী নদীর দূষণ মারাত্মক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। আর সিএসআর তহবিলের অর্থ কাফকোর শিল্প এলাকায় এ সমস্ত ক্ষয় ক্ষতি পূরণে ব্যয় হওয়া দরকার ছিল। সাবেক শিল্প সচিব ও কাফকোর বিদায়ি বোর্ড চেয়ারম্যানকে খুশি করতে বিভিন্ন খাতে এ অর্থ ব্যয় করার অর্থ সিএসআর তহবিল বরাদ্দে কাফকো অসদউপায় ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। যা দুর্নীতির সামিল। আর এ ধরনের ঘটনায় দেশে করপোরেট সেক্টরে সুশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে বিমুখ করবে। যা ভবিষ্যতে দেশের শিল্প ও বৈদেশিক বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করপোরেট সুশাসনের অভাবে দেশে কর ফাঁকি, কর্মী নিয়োগে অনিয়ম, কর্মী ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। যার
চূড়ান্ত পরিণাম শিল্পে উৎপাদন হ্রাস। পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাঝে অপেশাদার ও অস্থায়ী হবার কারণে এলাকায় জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও দায়বদ্ধতা থাকে না। যার দীর্ঘমেয়াদী ফল হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়ন ধারা ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর