কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ১৪০ কোটি টাকার ক্ষতি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-27 23:21:05

প্রতি বছর কুড়িগ্রামে বন্যা হয় এটাই স্বাভাবিক। এ জেলায় বন্যা কৃষকের জীবনের অংশ বিশেষ। এখানে ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারের বন্যায় কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার ফসলি আবাদ পানিতে তলিয়ে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণেই দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই এ জেলার কৃষকদের।

এ বছর বন্যায় কুড়িগ্রাম ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছিলেন। বন্যার কারণে বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কৃষকেরা।

জানা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষ করা পাট, পটলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকায় কৃষকরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, দু’দফা বন্যায় কুড়িগ্রামে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমির পাট, বীজতলা ও বিভিন্ন প্রকার সবজিসহ আনুমানিক ১৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি দু’বিঘা জমিতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে পটল চাষ করছিলাম। করোনার কারণে বাজারে সঠিক মূল্য পাইনি। পরে বন্যা এসে সব নষ্ট করে দিয়ে গেল। এখন জমিতে বালু মাটি জমেছে। আর আবাদ করা যাবে না। কীভাবে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাঁচব জানি না।’

ওই ইউনিয়নের আরেক সবজি চাষি মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘গতবার বিভিন্ন সবজি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আশায় ছিলাম এবার সবজি চাষ করে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিব। তবে একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যা এসে আমার সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, কুড়িগ্রামে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বিনষ্ট হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৪০ কোটি টাকার অধিক। লক্ষাধিক কৃষক পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া সরকারিভাবে কৃষকদের আমন রোপণের জন্য চারা বিতরণ করা হবে বলে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর