ঢাকায় খোলা বাজারে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল পাওয়া যাবে

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-12 16:40:17

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ডব্লিউএফপি খোলা বাজারে বিক্রয়ের (ওএমএস) জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল (ফর্টিফায়েড রাইস) অন্তর্ভুক্ত করেছে। সোমবার (১০ আগস্ট) ডব্লিউএফপি কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি পণ্য যা বৃহৎ পরিসরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণে অনেক সহায়তা করে। পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের দানা দেখতে সাধারণ চালের মতোই, এর রান্নার পদ্ধতি ও স্বাদও সাধারণ চালের মতো, তবে এই দানাগুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়ে থাকে ছয়টি অপরিহার্য ভিটামিন ও খনিজ দিয়ে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও জিংক। সাধারণ চালের সাথে ১:১০০ অনুপাতে এগুলো মেশানো হয়।

সোমবার বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম যৌথভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীন মোহাম্মাদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় কর্মসূচিটির উদ্বোধন করেন।

ঢাকাস্থ নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এই কর্মসূচির সপক্ষে সমর্থন বাড়াতে অ্যাডভোকেসির কাজে সহযোগিতা প্রদান করবে।

কর্মসূচির আওতায় বাজারমূল্যের থেকে কম দামে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে- স্বল্প আয়ের প্রত্যেক পরিবার প্রতি কেজি ৩০ টাকা (০.৩৬ ইউএস ডলার) মূল্যে প্রতিদিন পাঁচ কেজি পর্যন্ত চাল কিনতে পারবে। এরকম প্রতিটি পরিবার গড়ে প্রতিমাসে ২০ কেজি পর্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল কিনতে পারবে। ওএমএস-এর মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২০ টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত দোকানের মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিক্রি করা হবে।

ডব্লিউএফপি’র লক্ষ্য হল ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিতরণ নিশ্চিত করা যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের সদস্যদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিসংক্রান্ত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়, বিশেষত যেসব পরিবারে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাবার থাকে না।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খনিজ ও ভিটামিন সরবরাহ করবে সেইসব পরিবারের সদস্যদের যারা কোভিড-১৯ সংকটের কারণে আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সে কারণে সামর্থ্যের অভাবে যারা খাদ্য বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া, এটা ব্যয় সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে শহরের স্বল্প আয়ের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘খাদ্য অনিরাপত্তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর, বিশেষ করে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে এমনসব এলাকায় যারা বাস করে তাদের উপর। বৈচিত্র্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সামর্থ্য না থাকা বাংলাদেশে পুষ্টিহীনতা এবং ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতির অন্যতম কারণ।’

ওএমএস একটি জনমুখি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সারা বছর জুড়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর