জালের পসরা বসেছে ফুটপাতে, বেচাবিক্রি ভালো

বরিশাল, জাতীয়

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 23:36:03

বরিশাল: গ্রামীণ জীবনে মাছ ধরতে ঝাকি, চাক ও কোনা জালের ব্যবহার মিশে আছে সেই দূর অতীত থেকে। খাল-নদীতে ঘেরা বরিশাল শহরের আশপাশে রয়েছে অনেক গ্রাম। আর ওই সকল গ্রামের সিংহভাগ বাসিন্দারা সারা বছর নদী-নালা-ডোবা-পুকুর থেকে মাছ শিকার করেন। তবে বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকারের চাহিদা বেড়ে যায়।

আগে প্রায় বাড়িতেই মাছ ধরার জাল বোনা হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে সময় ব্যয় করে এখন আর তেমন জাল বোনা হয় না। অধিকাংশ মানুষ তাই বাজার থেকে জাল কিনে থাকেন। জাল বিক্রির এমনই একটি পসরা বসেছে নগরীর বরিশাল জাদুঘর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতের উপর। আর এ সব ছোটখাট দোকানকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছ ধরার নানা সাইজের ঝাকি, কোনা এবং চাক জাল ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সঙ্গে দাম হাকিয়ে বেচাবিক্রি করছে।

জাল ব্যবসায়ী কাওছার হোসেন (৩০) বার্তা২৪.কমকে জানান, সারা মাস ওই স্থানে বসে এই ঝাকি, চাক ও কোনা জাল বিক্রয় করে আসছেন। বর্তমানে কারেন্ট জালের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে এই জালের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কিন্তু পূর্বপুরুষের পেশা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য এখনো এই জাল বিক্রয় করে যাচ্ছেন তিনি।

জালের দামের বিষয়ে কাওছার জানান, সাইজ অনুযায়ী জালের বিক্রয়মূল্য একেক রকমের। বড় আকারের ঝাকি জাল সর্বনিম্ন ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এছাড়াও মাঝাড়ি আকারের ঝাকি জাল ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। চাকজাল সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনা জাল ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও খুচন জাল ৫০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রয় করা হয়।

বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন,‘বর্ষার সময়ে চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের বেচাবিক্রি ভালো হয়ে থাকে। প্রতিদিন গড়ে ৫-৬টা এবং তার বেশিও ছোট বড় ঝাকি জাল বিক্রি হয়। কিন্তু এই মৌসুম শেষ হলে অলস হয়ে পড়ে থাকতে হয়। তখন প্রতিদিন ২টা, সর্বোচ্চ হলে ৩টা বিক্রি হয়। তাও আবার সীমিত লাভে। এমনও সময় গেছে সপ্তাহে ১টাও বিক্রি করতে পারি নাই।’

তাই নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান কাওছার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর