১০ মিনিটে সর্বস্বান্ত করে দেয় ব্যবসায়ীকে, টার্গেট বড় শপিংমল!

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 23:31:09

রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় অবস্থিত মোতালেব প্লাজা থেকে ২৩ জুন রাত ৯টায় পঞ্চম তলা থেকে স্যামসাং ও ভিভোর দু’টি শো-রুম থেকে তালা কেটে ৯৫টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় চোরেরা।

এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মার্কেটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখেন। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, দোকান বন্ধ করে চলে যাওয়ার পরপর ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক দল তরুণ অভিনব কায়দায় দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

পরে প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ওই চোর চক্রের এক সদস্যকে প্রথমে শনাক্ত করে। বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে অভিযান চালিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় তার আরেক সহযোগীকে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিশু বিশ্বাস নেতৃত্বে এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মিশু বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা চোরাই মালগুলো যাদের কাছে বিক্রি করে তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলোও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আকাশ হোসেন রুবেল ওরফে আঙুল কাটা রুবেল ও সফর ওরফে সুমন।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে চুরির দৃশ্য, ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনই চুরি করার অভিনব পদ্ধতি ও কৌশলের কথা জানিয়েছে। গ্রেফতার রুবেল ও সুমন জানায়, তাদের চক্রের বাকি সদস্যদেরও বাড়ি একই এলাকায়। তারা কয়েকদিন পরপরই ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি হোটেলে উঠত। এরপর একাধিক দলে ভাগ হয়ে প্রথম দিন তারা বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানপাট দেখে আসত। টার্গেট নির্ধারণ করে দ্বিতীয় দিন নেমে পড়ত চুরির কাজে। চুরি করতে যেয়ে তারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে কাজ করত তারা। তন্মধ্যে লোকজন পাহাড়া দেওয়া, তালা কাটা সর্বশেষ ভেতরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র বের করে চম্পট দিতে আলাদা আলাদা দয়িত্ব থাকত। যেকোনো দোকানে চুরি করতে তারা সময় নিত মাত্র ১০ মিনিট। এর মধ্যে চুরি করা জিনিসপত্র নিয়ে স্থান ত্যাগ করত। পরদিনই সবাই চলে যেতো কুমিল্লায়।

ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, এই চোর চক্রের সদস্যরা সাধারণত মার্কেটে বেশি চুরি করে। মার্কেটের দোকান বন্ধ হওয়ার পরপরই চুরির কাজে নেমে যায় তারা। দোকানের তালা কাটার আগে তারা কোনো ব্যানার বা কাপড় দিয়ে ঢেকে নিতো। মোতালেব প্লাজায় চুরি করতে তারা ছাতা ও দোকানের বিজ্ঞাপনের ফেস্টুন ব্যবহার করেছে। তালা কেটে ভেতরে প্রবেশের পর এমন ভাব করতো যে, তারাই দোকান বন্ধ করছে।

তিনি আরও বলেন, চক্রের অন্য সদস্যরা নজরদারিতে রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর