অব্যবস্থাপনা-অবহেলায় সেতু পূর্ব-পশ্চিমে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

, জাতীয়

অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল | 2023-08-30 05:53:19

সেতু কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অবহেলায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে নির্মিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিটি পড়ে আছে। এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্মৃতিস্তম্ভে ঘাস জন্মে এবং ময়লা আবর্জনা পড়ে পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১৫ আগস্ট) সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির এই বেহাল দশার চিত্র দেখা গেছে।

নির্মিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে লাগানো ফ্লাড লাইট চারটির মধ্যে দুইটি চুরি হয়ে গেছে। স্টাইলসগুলো কিছু কিছু অংশে ভেঙে পড়েছে। প্রতিকৃতির চারপাশে ঘাস জন্মেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সেখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ফেলানো ময়লা আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে। এছাড়া স্থানীয়রা সেখানে প্রতিনিয়ত গরু চরাতে নিয়ে আসে। এতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি গো-চরণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে টোল-প্লাজা প্রবেশের আগেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়। গত ২০১২ সালে এটি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। তবে সেই সময় পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেটালজিক্যাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি অব চায়নার (এমসিসিসি) চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর বঙ্গবন্ধু সেতু পরিচালনার কাজে নিয়োজিত থাকলেও বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতির সংস্কার কাজ করা হয়নি। এরপর চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানী (সিসিসিসি) সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায়। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার কাজ করতে পারছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। ফলে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে রয়েছে প্রতিকৃতি দুইটি।

পরিবার নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়াতে আসা তৌফিকুর রহমান, রবিউলসহ অনেকেই জানান, এইদিনে শুধুমাত্র বিশাল এই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখতে আসি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। ঘাস খাওয়ানোর জন্য স্থানীয়রা এখানেও গরু নিয়ে আসে। ময়লা আবর্জনা পড়ে নষ্ট হয়েছে পরিবেশ।

বঙ্গবন্ধু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির (সিসিসিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর আর কোনো ধরনের সংস্কার কাজ করা হয়নি। এছাড়া সংস্কার কাজে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কোন বরাদ্দ না দেয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জন্য একজন সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। এছাড়া কোন ধরনের লোকবল নেই।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতির সামনে দুইটি ফুড পার্কের দোকান ইজারা দেয়া হয়েছে। ওই ফুড পার্কের লোকজন এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করবে। করোনার কারণে দোকানগুলো বন্ধ থাকায় সেখানে হয়ত ঘাস জন্মেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর