এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ আরবান হেলথ নেটওয়ার্কের যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয় আরবান হেলথ পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হয়। এবারের পলিসি ডায়ালগ ওয়েবিনারের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, 'আরবান হেলথ, মাল্টি স্টেক-হোল্ডার পার্টনারশিপ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং কোভিড-১৯'।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালকের বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামীম হায়দার তালুকদার।
ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ভবিষ্যতের নগর স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নীতি নির্ধারকদের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ উঠে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ দূত ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী যে ডাটাগুলো পাচ্ছি তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কোভিড-১৯ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষের আর্থসামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য-পুষ্টি ও দৈনন্দিন ইনকাম এর উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। তবে কোভিড-১৯ এর ইতিবাচক দিকগুলো হচ্ছে এটি বিশ্বব্যাপী মানুষকে সংঘবদ্ধ ভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে এবং সমভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা শিখিয়েছে'।
তিনি আরো বলেন, 'কোভিড-১৯ প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আমাদের বিশ্বব্যাপী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। শুধুমাত্র পলিটিক্যাল লিডারদের উপর নির্ভর না করে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের দায়িত্ব দিতে হবে প্র্যাকটিসনারদের হাতে। যাতে করে তারা কমিউনিটি লেভেলে মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে পারে'।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, 'বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ এবং এদেশের মানুষ অত্যন্ত দক্ষ। বিশেষ করে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কোভিড-১৯ এর কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিতে যেভাবে দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন সেটি সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে'।
জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. শামিম তালুকদার বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের মানুষের আর্থ সামাজিক জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি নির্ধারকদের কাছে বিজ্ঞানসম্মত তথ্য পৌঁছে দিতে চাই। এ লক্ষ্যে সিভিল সোসাইটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একটি রিস্ক কমিউনিকেশন প্ল্যান এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার রূপরেখা তৈরি করে বাংলাদেশ সরকার ও নীতি নির্ধারকদের দিতে চাই। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গণ-মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে আবারো পুনর্গঠিত হবে'।