'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো হয়নি'

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 15:05:38

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ 'বঙ্গবন্ধু: মানব ইতিহাসে মৃত্যুহীন এক মহাপ্রাণ' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আপনারা জানেন দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি আপনারা সবাই অবহিত। প্রায় ১৪ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম, এখনো আছি। ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আরও কয়েক লাখ লোকবল জড়িত। এত সংখ্যক মানুষকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না'।

তিনি বলেন, 'অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে তার ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যাতে পরীক্ষার্থীরাও জেনে প্রস্তুতি নিতে পারে'।

ডা. দীপু মনি বলেন, '১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড হলো নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড। মানব জাতির ইতিহাসে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বিরল। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের কয়েকজনের বিচারের রায় ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। বিদেশে যারা এখনো পালাতক রয়েছে বা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকেও দেশে এনে আইন অনুযায়ী বিচারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে'।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য তার মূল প্রবন্ধে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আজও আমরা পরাধীন থাকতাম। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বিশেষের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা অনুযায়ী একদল ঘাতক ও খুনি সেদিন শুধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকেই হত্যা করেনি, আমাদের জাতির পিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকেই হত্যা করে। হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ভিত্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পাকিস্তানি সামরিক, বেসামরিক ও সাম্প্রদায়িক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া। অতএব এ হত্যাকাণ্ড ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাই হত্যাকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহী ও মানবতার শত্রু'।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেনারেল জিয়া ও খোন্দকার মোশতাক যে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল ১৫ আগস্টের পূর্বাপর ঘটনাবলী তা অকাট্যভাবে প্রমাণ করে। তবে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকে যে জড়িত ছিল তাতে সন্দেহ নেই। আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের প্রয়োজনে এখন সময় হয়েছে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা। যারা ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন সংশোধন/পরিবর্তন করে তাদেরও মরণোত্তর বিচার হওয়া আবশ্যক।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সভায় নির্ধারিত দুইজন আলোচক ছিলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব জনাব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সভার সমাপনীতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব জনাব মো. আমিনুল ইসলাম খান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর