শ্রীমঙ্গলে থেমে নেই পাহাড় কাটার মহোৎসব

, জাতীয়

এম ইদ্রিস আলী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার | 2023-08-28 09:14:25

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রভাবশালীরা এসব পাহাড় কেটে নির্মাণ করছেন বসতি, বাণিজ্যিক স্থাপনা। পাশাপাশি পাহাড়ের এসব মাটি কেটে বিক্রিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলো রয়েছেন ঝুঁকিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগে কিছুদিন পর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও পরে আবার শুরু হয় পাহাড় কাটা।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবাদীরা।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) উপজেলার পাহাড়ি জনপদ রাধানগর, মোহাজিরাবাদ ও বিষামনি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক পরিবার পাহাড়ে নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। আর এসব ঝুঁকিপূর্ণ বসতির উপরের অংশে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। ফলে অনেক জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। এতে যেকোনো সময় পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা বিরাজ করছে।

রাধানাগর মৌজার বেগুনবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি মাটি শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটাচ্ছেন। শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে নিচে কৃষি জমি সৃজন করছেন।

জানতে চাইলে আবু তাহের নিজেকে বিটিআরআই গেস্ট হাউসের বাবুর্চি পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আনারস বাগান সৃজনের জন্য পাহাড়ের মাটি কাটতে হচ্ছে।’

সিলেট বিভাগের পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ আজ বিপর্যস্ত। সরকার পাহাড় কাটার উপরে শাস্তির বিধান রেখেছে। কিন্তু সেই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ না হওয়ায় পাহাড় খেকোরা ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে যাচ্ছে।’

জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এর আগে পাহাড় কাটার দায়ে শ্রীমঙ্গলের অনেকজনকে জরিমানা করেছি। কোনোভাবেই পাহার কাটা যাবে না। এ বিষয়টি আমরা দ্রুত দেখছি’।

এ সম্পর্কিত আরও খবর