বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রকৃতি ও পর্যটনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতির সাথে পর্যটনের উন্নয়নও সম্পর্কিত। মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণের ফলে সবুজ প্রকৃতিতে সমৃদ্ধ হবে দেশের পর্যটন।
‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে জাতীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বৃক্ষরোপণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সূচনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দৃষ্টিনন্দন ঝাউবন তৈরি করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। জাতির পিতা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে দেশের উন্নয়নের প্রতি নজর দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সবুজ প্রকৃতি বাংলাদেশের পর্যটনের সবচাইতে শক্তিশালী অংশ। আমরা যত বেশি প্রকৃতির যত্ন নেব পর্যটন কেন্দ্রগুলো ততো বেশি আকর্ষণীয় রূপে পর্যটকদের কাছে উপস্থাপিত হবে। প্রকৃতির ক্ষতি করে কোনো ধরনের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে না। পর্যটন স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাস্তুসংস্থান রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণের ফলে আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় আরও বেশি সবুজ ও মনোরম পরিবেশ তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে ১ কোটি গাছের চারা রোপণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ রোপন করা হবে।