রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় চাকরির লোভ দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ভারতে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে মহেমুনুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবু নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
সিআইডি বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাজধানীর সবুজবাগের একটি ফ্লাটে সাবলেট হিসেবে ভাড়া ওঠেন প্রতীক খন্দকার ও জেরিন। ওই ফ্ল্যাটে থাকা এক নারীকে ভালো চাকরি দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠাবেন বলে প্ররোচিত করেন তারা।
প্ররোচনায় প্রভাবিত ওই নারীকে মানব পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্তের একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে ভুক্তভোগী ওই নারীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভুক্তভোগীকে ভারতে একটি দালাল চক্রের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করার সময় পুলিশ উদ্ধার করে। এঘটনায় তখন মূল হোতা পালিয়ে যায়।
সোমবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে পলাতক মূল হোতা প্রতীককে গ্রেফতার করা হয়। আসামি প্রতীক খন্দকারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, তারা চাকরি দেওয়ার নামে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রলুব্ধ করলেও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিতেন না। প্রথম থেকে শুরু করে ভারতে তাদের বিক্রির আগ পর্যন্ত খুব ভালো ব্যবহার করতেন। এরপর ভারতে পাচারের পর তাদেরকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করত এই চক্রটি। পরে ওই চক্রের কাছে এসব নারীদের বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন প্রতীক ও জেরিন।