'৫শ বছর পরেও কেউ বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের ত্রুটি পাবে না'

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 23:59:39

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার কাজে কোনো বিশেষ সুযোগ নেওয়া হয় নাই। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচার কাজ শেষ হয়েছে।

৫শ বছর পরেও যদি কোনো গবেষক গবেষণা করে তাহলে একটুও ত্রুটি খুঁজে পাবে না। ত্রুটি থাকলেই তখন প্রশ্ন উঠতে পারে। এসব ত্রুটি যাতে কোনোটাই না থাকে সেজন্য ২১ বছর ধৈর্য ধরেছি মামলাটি শুরু করার জন্য। তারপর ১৪ বছর ধৈর্য ধরেছি মামলা শেষ করার জন্য। এই মামলার রায়ে কোনো ত্রুটি নাই।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের স্মরণে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয় ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

এছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মাদ ফরাসউদ্দিন, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের বিচার এটা সাধারণভাবে সাধারণ আদালতে হয়েছে। খুনিরা যারা দেশে ছিল তাদের আপিল করার সুযোগ ছিল। আসামিরা তাদের সকল অধিকার ভোগ করেছে। একটা আসামি যেসব অধিকার থাকে সকল অধিকার তাদের দিয়ে এই মামলা শেষ করা হয়।

তিনি বলেন, খুনিদের মধ্যে ৩ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দির তথ্যের অনুপাতে বলতে পারি শুধু যে তারাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তা না, এর পেছনেও জড়িত ছিল অনেকেই। এর পেছনে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে জিয়াউর রহমান অন্যতম।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, জিয়াউর রহমান প্রথমে কর্নেল রশিদ, কর্নেল ফারুক, কর্নেল শাহরিয়ার, মেজর ডালিম এই খুনিদের উৎসাহ দিয়েছে, তারা তাদের জবানবন্দিতে বলেছেন। প্রথমে তারা যখন তার সাথে আলাপ আলোচনা করতে গেছে তখন তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয় বলার পর জিয়াউর রহমান তাদের চাকরীচ্যুত না করে বলেছেন দেখ আমি বড় অফিসার আমি তো কিছু করতে পারব না, তোমরা যদি পার তোমরা কর। তার মানে তাদের পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করা। যখন ঘটনা ঘটে যায় তখন কর্নেল রশিদ এবং কর্নেল ফারুক জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করে। তারপর যখন সাফায়েত জামিল এবং খালেদ মোশারফ যখন জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করতে যান তার বাসায় তখন বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট হত্যা হয়েছে তো কি হয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার। ভাইস প্রেসিডেন্ট দেয়ার পর প্রেসিডেন্টটা ছয় মাসের মধ্যে কে হল? এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় এই ৬ মাসের মধ্যে যিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি শুধু এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান উপকারভোগী না তিনি এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান ভূমিকা রয়েছে। জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমার কাছে রেকর্ড আছে। তৎকালীন আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক যুক্ত তর্কের সময় সম্পূর্ণভাবে বলে গেছেন জিয়াউর রহমান এই হামলার সাথে জড়িত, জিয়াউর রহমান এই খুনের সাথে জড়িত। তার সাজা দেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি প্রচারিত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর