মিয়ানমারে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 11:12:35

হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস হামলার তিন বছর হয়ে গেলে। যুক্তরাষ্ট্র ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার ও দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি পুনর্ব্যক্ত করছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাসের এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানায়।

বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানায়।

মরগান অর্টাগাসের বিবৃতি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ বাড়ার প্রেক্ষাপটে, আমরা সহিংসতার অবসান, সংলাপ, স্থানীয় জনগণের সুরক্ষায় নবায়িত/অব্যাহত প্রচেষ্টা, এবং মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার বাধামুক্ত প্রবেশের দাবী জানাচ্ছি।

বার্মায় এখনো স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যা ও হাজার হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগমুক্ত হতে পারছে না, কারণ এই ধরনের পরিস্থিতি শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কমায় এবং শান্তির সম্ভাবনা নষ্ট করে।

আমরা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন এবং একইসঙ্গে তারা যেন রাখাইন রাজ্য বিষয়ে কফি আনানের নেতৃত্বে পরিচালিত এডভাইজরি কমিশনের দেয়া সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্র বার্মা ও বাংলাদেশে সঙ্কটের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের মানবিক দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯৫১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে। আমরা ৮৬০,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত উদারতার আন্তরিক প্রশংসা করি। আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সংকট সমাধানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতি প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানাই।

যুক্তরাষ্ট্র ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে ও নৃশংসতার জন দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত শীর্ষ সামরিক নেতৃবৃন্দ ও সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলোর উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতিসংঘের তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা, এবং বার্মাকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)-এর কার্যক্রমে পুরোপুরিভাবে অংশ নিতে এবং আদালতের রায় মেনে নিতে উৎসাহিত করা। আমরা এই নৃশংসতার জন্য দায়ীদের শাস্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করছি। তবে, আরো অনেক কিছু করার বাকি আছে।

যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্তরাধিকার কাটিয়ে উঠতে এবং গণতন্ত্রের প্রসার ও শান্তি অর্জনের জন্য সেখানকার জনগণের প্রচেষ্টার সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর