কুড়িগ্রামে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। তবে এখন বন্যার পানি সরে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে জমিতে পানি জমেছে। জমে থাকা এসব পানি স্থানান্তর করে ধরা হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। এই মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছেন শিশুসহ নানা বয়সী নারী ও পুরুষ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) মাছ ধরার এমনই চিত্র দেখা গেছে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের সদর উপজেলার পাচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকাসহ জেলার অনেক স্থানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থানে দলবদ্ধভাবে কনুইয়ের নিচে থাকা একটি জমির পানি অন্য জমিতে স্থানান্তরের পর হাত দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে তারা। টেংরা মাছ, পুঁটিমাছ, টাকি মাছসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছে নারী-পুরুষসহ শিশুরা।
জমিতে মাছ ধরতে আসা মাঈনুল, রফিকুল ও রাকিব বলেন, এবারের দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় এ অঞ্চলের মানুষ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এবারের বন্যায় দেশি মাছ খুব হয়েছে। প্রতিদিন জমি থেকে কম বেশি মাছ ধরছি। আমরা সবাই পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি মাছগুলো রোদে শুকিয়ে শুটকি করছি।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালি পদ রায় বার্তা২৪.কম-কে জানান, অন্যান্য জেলার তুলনায় কুড়িগ্রামে প্লাবন ভূমির পরিমাণ অনেক বেশি। এ কারণেই দেশীয় মাছ বেশি হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত দেশি জাতের মাছ প্রজননের সময়। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় মূলত দেশীয় মাছ বেশি হয়েছে।