রংপুর বিভাগে পাঁচ মাসে করোনায় মৃত্যু ১৬৪

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-22 15:54:30

করোনাভাইরাসের প্রকোপে গত পাঁচ মাসে রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ছয়জন। এই বিভাগে প্রতি মাসে গড়ে ত্রিশ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরা যাচ্ছেন।

এদিকে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিভাগের আট জেলায় নতুন করে ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৮৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৪৫ জন রোগী।

বর্তমানে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিভাগের আট জেলার মধ্যে প্রথম রয়েছে দিনাজপুর। এর পরই রয়েছে রংপুর জেলা। তৃতীয় অবস্থানে গাইবান্ধা। বর্তমানে দিনাজপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯শ ১৬ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। রংপুর জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩শ ১০ জন এবং মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। গাইবান্ধায় আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৩ জনে এবং মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১৪।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল হতে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিভাগের আট জেলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ১ জন করে এবং নীলফামারী জেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যানে দিনাজপুরে ৫৬, রংপুরে ৩৮ ও নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫ জন করে ছাড়াও গাইবান্ধায় ১৪ জন, কুড়িগ্রামে ১২, পঞ্চগড়ে ৯ এবং লালমনিরহাট জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে দিনাজপুরে ৫২, ঠাকুরগাঁয় ১৭, লালমনিরহাটে ১৪, গাইবান্ধা জেলায় ১০, পঞ্চগড় জেলায় ৪, কুড়িগ্রাম জেলায় ৪, নীলফামারী জেলায় ৪ এবং রংপুর জেলায় ৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৮৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে না চলায় রংপুর বিভাগে দিন দিন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

রংপুরে করোনা প্রতিরোধে গঠিত নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু জানান, প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আরো অনেক সচেতন হতে হবে। দোকানপাট খুললেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে। বাজারে চলাচল করতে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনাসহ প্রয়োজনীয় নিয়ম মানতে হবে। আর তা না হলে রোগী বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর