এনআইডি জালিয়াতি: সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত ইসির

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 12:26:06

মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুইবার ভোটার হওয়ার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করায় জেকেজির হেলথকেয়ারের সাবেক চেয়ারম্যান ডা.সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালককে মামলা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডিটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ায়, কার সুপারিশে তিনি দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন, আমাদের কেউ কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সহায়তা করেছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দিয়েছি। এরপরও আমরা একটা চিঠি দিচ্ছি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করার জন্য। আমরা অতীতেও অনেকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার কারণে মামলা দিয়েছি। কাউকেই ছাড় দিইনি। এ ঘটনায় জড়িতদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’

ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী, দ্বৈত ভোটার হওয়া বা চেষ্টার বিষয়টিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্তত দুই বছর জেল ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রথমবার ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন। সে অনুযায়ী, তার এনআইডি নম্বর ৬৪৪০০৮৩৮৩৭। ভোটার নম্বর ২৬১৩০১০০০০২৫। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা-১২২/ক, মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি। জন্ম তারিখ-২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। মাতার নাম কিশোয়ারা জেসমিন, স্বামীর নাম এইচ হক। পেশা সরকারি চাকরি আর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর।

অন্যদিকে তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে ২০১৬ সালে পুনরায় ভোটার হয়েছে সাবরীনা শারমিন হোসেন। সে অনুযায়ী, তার অপর এনআইডি নম্বর ৮৭০৪৩৭৩০৮৬। ভোটার নম্বর ২৬১১১৫৫০০২৩২৫। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা-১৪/এ, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক, প্রগতি সরণী, বাড্ডা এখানে তার জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। অর্থাৎ ৫ বছর বয়স কমিয়েছেন তিনি। মাতার নাম জেসমিন হোসেন আর স্বামী আরিফুল চৌধুরী। মাতার ও স্বামীর নামে পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা কমিয়ে স্নাতক ‍উল্লেখ করা হয়েছে। আগের এনআইডিতে সনাক্তকারী কোনো চিহ্ন না থাকলেও দ্বিতীয় এনআইডিতে ‘চিবুকে তিল’ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচনী কমিশনের তথ্যভাণ্ডার বলছে, সাবরিনা প্রথম আইডি কার্ডটি নিয়েছেন ২০১৬ সালের হালনাগাদে। আর দ্বিতীয় আইডি কার্ডটি রয়েছে নতুন ভোটার তালিকায়। তবে দুটিতে স্বাক্ষর একই।

উল্লেখ্য নমুনা ফেলে দিয়ে ভুয়া কোভিড রিপোর্ট তৈরির দায়ে কারাগারে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানে ডা. সাবরিনা ও আরিফ চৌধুরী। শুরু হয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়াও।

এ সম্পর্কিত আরও খবর