ভারত থেকে উপহার পাওয়া ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসার পর ইঞ্জিনগুলোকে পাঠানো হয় পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায়। সেখানেই প্রতিটি লোকোমোটিভের আলাদাভাবে কার্যকারিতা পরীক্ষা ও ট্রায়াল শেষে চলাচলের জন্য তিনটি লোকোমোটিভ প্রস্তুত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারত থেকে পাওয়া এসব লোকোমোটিভকে বাংলাদেশের লোকোমোটিভের আদলে নতুন করে রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং লোকোমোটিভের গায়ে লেখা হয়েছে 'ভারতীয় সরকারের উপহার'।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতের ১০টি ব্রডগেজ লোকমোটিভের মধ্যে সকল কাজ শেষে আগামীকাল ৩টি লোকোমোটিভ পাকশী বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা থেকে আরও জানা যায়, কারখানায় আসা ভারতীয় এসব লোকোমোটিভের প্রতিটিকে আলাদা ভাবে পুরো ইঞ্জিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। যে লোকোমোটিভের কার্যকারিতা ভালো থাকে তাকে চলাচলের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। আর যদি কোনো সমস্যা থাকে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে সেটিকেও চলার জন্য পারমিশন দেওয়া হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারতীয় সব লোকোমোটিভ গুলো প্রায় একই কন্ডিশনের এবং বেশ ভালো। এসব ইঞ্জিনের হর্স পাওয়ার রয়েছে ৩১০০- ৩২০০।
কোন রুটে এসব লোকোমোটিভগুলো চলতে পারে জানতে চাইলে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, লোকোমোটিভ গুলো বর্তমানে পার্বতীপুর কারখানায় আছে। সেখানে ইঞ্জিনগুলোর কিছু কাজ করা হয়েছে যেমন রঙ, লেখা এসব। লোকোমোটিভগুলো আগে থেকেই চলাচলের উপযোগী ছিলো। শনিবার (২৯ আগস্ট) তিনটা লোকোমোটিভ আমাদের হ্যান্ডওভার করার কথা রয়েছে। আমরা বুঝে পাওয়ার পরে। এসব ইঞ্জিন দিয়ে মালবাহী ট্রেন চালানোর একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আছে আমাদের।
তাছাড়া, একটি ট্রেন চালানোর জন্য মূল ভূমিকা পালন করে ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ইঞ্জিনের কিছুটা সংকট রয়েছে। তাই ট্রেনের গতি আরও বাড়ানোর জন্য এই লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য গত ২৭ জুলাই এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের উপহার দেয়া ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বা রেল ইঞ্জিন দর্শনা-গেদে ইন্টারনেকশন পয়েন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।