এবারের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় সারাদেশে ৯ লাখ কৃষকের সত্তর হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ।
তিনি বলেছেন, সরকারি হিসেবে দেশে এবার নয় লাখ কৃষক বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলের জমি। সবমিলে বন্যায় ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগ ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ড. আব্দুল মুঈদ বলেন, করোনা দুযোগেও সরকার ও কৃষি বিভাগ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত পার করেছে। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যেই আগাম ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা সারাদেশে আঘাত হানে। এতে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার কৃষকদের মাঝে আমনের চারা ও মাসকালাইয়ের বীজ এবং শাক-সবজির বীজ প্রণোদনা দিচ্ছে। এবছর আর বন্যা না হলে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যথেষ্ট চারা বন্যামুক্ত এলাকায় মজুদ আছে। এর পরিমান ১১৩ ভাগ। সে কারণে দেশে এবার ৯৮ লাখ হেক্টর জমিতে আমন চাষের মাধ্যমে দেড় কোটি টন চাল উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা আছে। আর কোন বন্যা না হলে সেই উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি। আর যদি লেট বন্যা হয়, তাহলে আমনের আবাদের লক্ষামাত্রা সামান্য বিঘ্নিত হতে পারে। যা আমরা অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পাশে কাজ করছি।
এর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে কমিউনিটি বীজতলার আমন চারা বিতরণ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল মুঈদ। এতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সারওয়ারুল আলম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফাতআরা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।