হোসেনি দালান জঙ্গি হামলা: পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 03:59:58

পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে ২০১৫ সালে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নব্য জেএমবির ১৩ জঙ্গির জড়িত থাকার সত্যতা পায় ডিবি।

এদের মধ্যে তিনজন ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মধ্যে মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১২ জন। মামলায় ছয় জঙ্গি কারাগারে আটক আছেন। বাকি চার জঙ্গি জামিনে বেরিয়ে গেছেন। চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, হোসেনি দালানে জঙ্গি হামলা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

জানতে চাইলে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. গোলাম ছরোয়ার খান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় মামলার বিচারকাজও বন্ধ ছিল। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে তারা তৎপর রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় ইমামবাড়ায় বোমা হামলা হয়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। পরে সেখান থেকে অবিস্ফোরিত দুটি বোমা (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস—আইইডি) উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি তাদের শক্তির জানান দিতে শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় জমায়েতকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছিল, যাতে দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হোসেনি দালানের ইমামবাড়ায় বোমা হামলার ঘটনায় ঢাকার চকবাজার থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) দেওয়া হয়।

মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের পরিদর্শক শফিউদ্দিন বলেন, তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল নব্য জেএমবি ১০ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর